যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে বিশ্ব ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে? বিশ্বরাজনীতির প্রভাবশালী নেতা, এখন “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির কারণে বিশ্ব থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ক্ষমতায় ফিরে ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি শপথ নেওয়ার পরপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে। WHO-এর মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া ট্রাম্প অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তার প্রশাসন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেয়া বেশ কিছু নীতি পরিবর্তন করেছে।
বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হচ্ছে যে, “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি নিয়ে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে আরও একঘরে করে তুলছেন। বৈদেশিক সাহায্যের খাতে ব্যয় কমিয়ে দেশীয় উন্নয়ন অগ্রাধিকার দিতে চাইলেও এটি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এছাড়া ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে পুনরায় প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তার দাবি, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিপরীতে কাজ করছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা আরও কিছু চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেমন গ্রিনল্যান্ড ও মেক্সিকো উপসাগরকে যুক্তরাষ্ট্রের আওতায় আনার প্রস্তাব। একইসঙ্গে, তিনি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি ও স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করবে। তবে, ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণে আত্মবিশ্বাসী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি ট্রাম্পের সমালোচনা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভবিষ্যৎকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আরও স্বাবলম্বী করতে চান, কিন্তু এটি বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তার মাত্রা বাড়াচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের নীতিগত পরিবর্তন বৈশ্বিক ভারসাম্য ভেঙে দিতে পারে, যা বিশ্বব্যবস্থার জন্য বড় ধরনের হুমকি।

