কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংঘর্ষ, কী ঘটেছিল জানালেন সমন্বয়ক রিফাত

রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। অভিযোগ ওঠে, সমন্বয়ক রিফাত রশিদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শাটার বন্ধ করে মারধর করেছেন। এছাড়াও নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ পাওয়া যায়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুক পোস্টে সমন্বয়ক রিফাত রশিদ পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা দেন। তিনি লেখেন, “যাত্রাবাড়ী জোনের দুই পক্ষের মধ্যে সোমবার রাতে ডেমরায় হাতাহাতির ঘটনার পর আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে একদল শিক্ষার্থী বিচার দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শাটার বন্ধ করে স্ট্রাইক শুরু করে।

এরপর নির্বাহী সদস্য নাঈম আবেদীন পরিস্থিতি সামাল দিতে অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করলে ওই শিক্ষার্থীরা তার ওপর হামলা চালায়। এতে তার হাতে ফ্র্যাকচারসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে যাত্রাবাড়ী জোনের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।”

রিফাত রশিদ আরও জানান, “আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে আলাদা কথা বলে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সংঘর্ষের সময় স্থানীয় ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন যুক্ত হয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। তদন্তে জানা যায়, কিছু বহিরাগত ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের সংগঠনের ঊর্ধ্বতনদের এ বিষয়ে অবহিত করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে হামলার নেতৃত্বের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি বরং সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছি এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাহলে সেটি গণমাধ্যমের মাধ্যমে সামনে আসুক।”

শেষে তিনি বলেন, “সকল সাংগঠনিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। যারা ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে অভিযুক্ত করেছেন, তারা যদি ভুল স্বীকার করেন, আমি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে কেউ যদি সংগঠনে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রিফাত রশিদ স্পষ্ট করেন যে তিনি পেশিশক্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন এবং সব সময় ন্যায্যতার পথে চলেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে তিনি তদন্তের দাবি জানান।

Scroll to Top