যশোরের চৌগাছায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এক সার ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা, ভাঙচুর এবং তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে, যা পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
হামলার শিকার ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান লেন্টু অভিযোগ করেছেন যে, হামলাকারীরা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলামের সহযোগী। লেন্টুর দাবি, হামলাকারীরা তার দোকান থেকে ৮ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করেছে।
চৌগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছেন এবং মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লেন্টুর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন স্থানীয় সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, নাইমুজ্জামান সুমন, মনিরুল ইসলাম, মাজিদুল ইসলাম, ইসাহক আলী ও তরিকুল ইসলাম। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মেসার্স শয়ন ট্রেডার্সে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা দোকানের ভেতর ঢুকে ভাঙচুর করে এবং লেন্টুকে মারধর করে। পরে তাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকান তালাবদ্ধ করে রাখে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় লেন্টু দোকানের তালা খুলতে সক্ষম হন।
লেন্টু বলেন, “হামলার পর থেকে তারা আমাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে এবং দোকান খুলতে নিষেধ করেছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “লেন্টুর পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। তার বাবার সম্পত্তি একাই ভোগ করতে চাওয়ায় তিনি তার বাবা ও ভাইকে মারধর করেছেন। এই হামলার সঙ্গে আমার বা আমার কোনো কর্মীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগের তদন্ত করছি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।