একই পরিবারের ১৬ জন একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকার অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) চার মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে একটি রুল জারি করেছেন আদালত।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিশামত বদি উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে আয়া পর্যন্ত ১৬ জন একই পরিবারের সদস্য। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই প্রতিবেদনসহ অন্যান্য তথ্য সংযুক্ত করে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলী হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। তিনি জানান, ২০০২ সালে এমপিওভুক্ত হওয়া এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজের পরিবার-পরিজনকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক তার ভাই, স্ত্রী, এবং ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এসব নিয়োগ এবং এমপিও প্রক্রিয়াকে অবৈধ ও দুর্নীতিগ্রস্ত দাবি করে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়। তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ, শফিকুর রহমান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
হাইকোর্ট এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং আগামী চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।