পাকিস্তানে উদযাপিত হলো মহান বিজয় দিবস

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে নানা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তাদের পরিবারবর্গ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকায় প্রাপ্ত এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।

দূতাবাস প্রাঙ্গণকে বিজয় দিবসের ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনায় উপ-হাইকমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম খান মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপট এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরসহ সকলের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।


মাইকে শেখ মুজিবের ভাষণ বাজানোয় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

পাবনায় বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ মাইকে বাজানোর অভিযোগে মোস্তফা আলী খান ওরফে মোস্তবালি (৪৫) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বনভোজনের আয়োজনের অভিযোগও আনা হয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা সদরের চরতারাপুর ইউনিয়নের টাটিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন এবং একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

থানা সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে বিজয় দিবস উপলক্ষে টাটিপাড়ায় মুজিব বাঁধের ওপর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৩০০-৪০০ নেতাকর্মীর জন্য খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করা হয়। ওই সময় সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো হচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে দলীয় প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি নাশকতার উদ্দেশে গোপন বৈঠকও হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালালে নেতাকর্মীরা দ্রুত সটকে পড়েন। পরে সোমবার দুপুরে সদর থানার এসআই মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মোস্তফা আলী খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার মিছিলে গুলি চালিয়ে দুজন শিক্ষার্থী নিহত হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের একটি মামলায় মোস্তফাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, “মাইকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজানোর পাশাপাশি দলীয় প্রচারণার অভিযোগ ছিল। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করি এবং পরে বৈষম্যবিরোধী মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়।”

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর চরতারাপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান দায়িত্ব পালন না করায় ইউপি সদস্য মোস্তফা আলী খানকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে পূর্ণাঙ্গ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।