ড. ইউনূসই পৃথিবীর একমাত্র নেতা, যার এত যোগ্যতা : রামোস

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শতাধিক ডিগ্রি রয়েছে। পৃথিবীতে সম্ভবত তিনিই একমাত্র নেতা, যার এত যোগ্যতা রয়েছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রামোস হোর্তা এ কথা বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ড. ইউনূসের একাডেমিক ও সামাজিক কাজের গুরুত্ব বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত এবং এটি তাকে ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

এর আগে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চার দিনের সফরে ঢাকায় আসেন রামোস হোর্তা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লাল গালিচা অভ্যর্থনার মাধ্যমে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে বরণ করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সফরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং পূর্ব তিমুরের মধ্যে অফিসিয়াল ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই হবে। একইসঙ্গে ঢাকায় পূর্ব তিমুরের একটি অনারারি কনস্যুলেট খোলার ঘোষণা আসারও কথা রয়েছে।


গ্রেপ্তার এড়াতে যেভাবে পালিয়ে যান তাহেরি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়ি এলাকায় শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে আলোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি স্থানীয় একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং পরে পেছনে বয়ে যাওয়া বিলের পানিতে সাঁতরে পালিয়ে যান।

এ সময় তাহেরির অনুসারীরা পুলিশের ব্যবহৃত একটি পিকআপ, মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশায় ভাঙচুর চালায়। হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশ ছয়জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- ওমর আলী, শাহানুর, মোশারফ মিয়া, হাকিম মিয়া, সেলিম ও মিজান মিয়া। এরা সবাই নাজিরাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, বিনা অনুমতিতে তাহেরির একটি মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আখাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন এবং পরে বিলের পানি দিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) আখাউড়ায় বিনা অনুমতিতে তাহেরির আরেকটি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ দ্রুত মাহফিল শেষ করতে বললে তার অনুসারীরা এক এসআইকে আক্রমণ করে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এছাড়া মাহফিলে পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তাহেরিসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে।