ভারতের হোটেলে বাংলাদেশি আম্পায়ারের মৃত্যু, জানা গেল লোমহ*র্ষক ঘটনার কারণ

ভারতের গুয়াহাটিতে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন আম্পায়ার নাজিব ইসমাইল রাসেল। ৫২ বছর বয়সী নাজিব ছিলেন বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের প্যানেলভুক্ত একজন স্বনামধন্য আম্পায়ার।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) তার একটি ম্যাচ পরিচালনার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে কোর্টে উপস্থিত না হওয়ায় আয়োজকরা তার খোঁজ নিতে হোটেলে যান। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। নাজিবের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে।

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন জানিয়েছে, তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট শুরু হতে যাচ্ছে, যেখানে নাজিবের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল।

নাজিব ইসমাইল রাসেলের এই অকাল প্রয়াণ দেশের ব্যাডমিন্টন অঙ্গনের জন্য একটি বড় ক্ষতি।


‘কাকুর বয়সী লোক কোমরে হাত দেয়, তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি’

জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিজ মিঠাই-এর সুবাদে সৌমিতৃষা কুন্ডু এখন খ্যাতির শীর্ষে। তার ভক্তসংখ্যা যেমন অগণিত, তেমনি সমালোচকদের কটাক্ষও তাকে ঘিরে থাকে। তবুও তিনি নিজের ক্যারিয়ারে একের পর এক সাফল্যের মাইলফলক পেরিয়ে চলেছেন।

গত বছরের শেষে অভিনেতা দেবের সঙ্গে বড় পর্দায় অভিষেক করার পর এবার সৌমিতৃষা ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও নিজের যাত্রা শুরু করেছেন। শুক্রবার হইচই-এ মুক্তি পেয়েছে তার প্রথম ওয়েব সিরিজ কালরাত্রি।

তবে খ্যাতি যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, সৌমিতৃষা এখন বডিগার্ড সঙ্গে নিয়ে চলাফেরা করেন। এই নিয়ে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন। অনেকেই তার এই পদক্ষেপকে ‘লোক দেখানো’ বলে বিদ্রূপ করছেন।

তবে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজার অনলাইনকে সৌমিতৃষা বলেন, “নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। কারণ আমি বারবার অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি।”

তিনি আরও জানান, “পর্দায় একে অপরকে ছুঁই বলে কেউ যেন মনে না করে যে আমাকে যেকোনোভাবে ছুঁতে পারে। ছবি তোলার সময় এমনও হয়েছে, কাকুর বয়সী লোক এসে কোমরে হাত দেয়। আমি একজন মেয়ে, এমন আচরণের প্রতিবাদ করতে পারি না। তাই আমার সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন, তারা এই বিষয়গুলো সামলান। এ কারণেই বডিগার্ড রাখছি।”

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব বেশি কিছু প্রকাশ্যে আনতে পছন্দ করেন না সৌমিতৃষা। তার বন্ধুবৃত্ত খুবই ছোট এবং ক্যারিয়ারেই তিনি এখন সবচেয়ে বেশি মনোযোগী। ছোট পর্দায় ফেরার ইচ্ছে আপাতত নেই তার, যদিও সিরিয়াল বন্ধ থাকার বিষয়টি তাকে ভাবিয়ে তুলছে।

তিনি বলেন, “আমাদের ভাবতে হবে, দর্শক কেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। টলিউডে হাতেগোনা কয়েকটি চ্যানেল এবং প্রযোজনা সংস্থাই কাজ করছে। আমি চাই, কাজের সুযোগ সবার জন্য সমান হোক। যেন কেউ দীর্ঘ সময় বসে না থাকে।”

আগামী দিনে সৌমিতৃষাকে দেখা যাবে ১০ই জুন নামের ছবিতে। এতে তার বিপরীতে থাকছেন অভিনেতা সৌরভ দাস। এই ছবিটি নিয়েও দর্শকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা কাজ করছে।