ভারতীয়দের ভিসা নিয়ে বিশাল বড় দুঃসংবাদ দিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে উত্তেজনার চরমে পৌঁছেছে, বিশেষত পতাকা অবমাননা এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর অতিরঞ্জিত রিপোর্টের কারণে। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা প্রদানে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনকে একটি গোপন চিঠির মাধ্যমে ভিসা কার্যক্রম সীমিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে।

এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারতের বিরুদ্ধে নেওয়া প্রথম কঠোর পদক্ষেপ। এর আগে, ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা এবং ভাঙচুরের পর ত্রিপুরা মিশনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। তখনও ভারতীয়দের ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দিল্লি ও আসাম মিশনের ক্ষেত্রে এখনো এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, কলকাতা ও ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যতে দিল্লি ও আসামেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বাংলাদেশ।

গত ৪ ডিসেম্বর এক বিশেষ নোটিশে, ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ এবং কলকাতার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মো. আশরাফুল রহমানকে ঢাকায় ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরের দিন তারা ঢাকায় উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এই সিদ্ধান্তগুলোর পেছনে আরও একটি বড় কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত কিছু সংখ্যালঘু ইস্যু। এসব ইস্যু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।

এদিকে, ত্রিপুরার হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং এর জবাবে ভারত হামলার জন্য গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছে। এছাড়া হামলায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার এবং তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে।

দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য এই সংকটময় পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের প্রত্যাশা করছে সবাই।


বিশ্বব্যাংকের নজিরবিহীন পদক্ষেপ: রেকর্ড ঋণ সহায়তার ঘোষণা

বিশ্বব্যাংক দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর উন্নয়নে রেকর্ড ১০০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ও অনুদান সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে এই আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

বিশ্বব্যাংকের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ)-এর মাধ্যমে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর আগে, আইডিএ’র মাধ্যমে ২০২১ সালে ৯৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, আইডিএ বিশ্বব্যাংকের একটি প্রধান উদ্যোগ, যা বিশ্বের দরিদ্রতম ৭৮টি দেশের জন্য কাজ করে। এতে জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা, এবং অন্যান্য সংকটের জন্য সহায়তা অন্তর্ভুক্ত।

অর্থ সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, এবং ইউরোপীয় অন্যান্য দেশ। যুক্তরাষ্ট্র একাই এই প্রকল্পে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি, নরওয়ে ও স্পেনসহ আরও বেশ কিছু দেশও তাদের অর্থায়ন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, আইডিএ প্রকল্পের অধীনে দাতা দেশগুলো দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কম সুদে ঋণ ও অনুদান সরবরাহ করে। ২০২০ সালের পর থেকে এই প্রকল্পে অর্থায়ন বৃদ্ধি পেয়ে ২৩.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের তিন বছরের তুলনায় সামান্য বেশি।

বিশ্বব্যাংকের এই উদ্যোগ দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।