Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নিজের ভোট না পাওয়া সেই নজরুল বললেন, এই কথা মনে উঠলেই হাউমাউ করে কান্না আসছে

নিজের ভোট না পাওয়া সেই নজরুল বললেন, এই কথা মনে উঠলেই হাউমাউ করে কান্না আসছে

নির্বাচন’ যাকে ঘিরে থাকে কারো দেশ গড়ার স্বপ্ন কারো থাকে নিজ এলাকা গড়ার স্বপ্ন। চলছে ইউপি নির্বাচন সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে। কোথাও জেতার খুশি কোথাও বা হারার বেদনা। নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। কিন্তূ এ কেমন নির্বাচন এ কেমন ভোট গ্রহন যে সেখানে নিজের ভোটটিও পেলনা প্রার্থী নিজেই। সম্প্রতি এমনই একটি খবর পাওয়া গেছে যেখানে শুণ্য ভোট পেয়েছেন ১ জন এউপি নির্বাচন সদস্য পদ প্রার্থী।

এনিয়ে চলছে আলোচনা ঝড়। সবার প্রশ্ন, তাহলে কি নিজের ভোটটাও নিজেকে দেননি নজরুল। তবে, প্রার্থী নজরুল ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানান।

নজরুল ওই ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ড সদস্য পদে নির্বাচন করেন। তিনি নাখারগঞ্জ পশ্চিম রামখানা দেওয়ানটারী গ্রামের ইজ্জত তুল্ল্যার ছেলে।

ওই ইউনিয়নে নজরুলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরজামাল শেখ ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৭১৬, ফজলে রহমান বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন চার ভোট, সফিকুল ইসলাম তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭৭ ভোট।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতীক পাওয়ার পর বিজয়ী হতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণাও চালান নজরুল। সবার মতো দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে প্রতীক ও প্রার্থীর প্রচারণা। পোস্টার লাগানো হয় ওয়ার্ডের সর্বত্রই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। তবে কেন্দ্রে টিউবওয়েল প্রতীকের কোনো এজেন্ট ছিল না। রবিবার ভোট গণনা করে দেখা যায় তিনি একটি ভোটও পাননি।

তাহলে তিনি, তার স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আত্মীয়স্বজন, তার শুভাকাঙ্ক্ষী, কর্মী-সমর্থক ও এজেন্ট কেউই কী তাকে ভোট দেয়নি। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনার সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে প্রার্থীর নিজের ভোটটি কোথায় গেল?

প্রার্থী নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। অপ্রত্যাশিত এ ফলাফল শোনার পরে আমি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে গেছি। লজ্জায় বাইরে যেতে মন চায় না। কাল থেকে নিজেকে আমি প্রায় ঘরবন্দি করে ফেলেছি। ভোটের কথা মনে উঠলেই হাউমাউ করে আমার কান্না আসছে।

তিনি বলেন, যদি কর্মী-সমর্থকরা আমাকে ধোকা দেয় তারপরও আমি, আমার স্ত্রী মেহরা খাতুন, বড় ছেলে মফিজুল ইসলাম, তার স্ত্রী কল্পনা খাতুন, মেজ ছেলে এনামুল হক, তার স্ত্রী ফরিদা বেগমসহ রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় স্বজনরা ভোট দিলে অন্তত দেড়শ থেকে দুইশত ভোট পাওয়ার কথা। সেখানে শূন্য ভোট হয় কিভাবে। আমি এটা মেনে নিতে পরছি না। রাতেই আমি সংশ্লিষ্ট অফিসে ভোট পুনঃগণনার আবেদন করেছি।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার আনোয়ার হোসেন আবেদন পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, এটি আইনিভাবে মোকাবেলা করার জন্য তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ যেন মেনে নেওয়া যায়না। সবাই যদি তাকে ভোট না ও দিয়ে থাকে, তাহলে নিজের ভোট টা কোথায় গেল! নির্বাচনে হারাটা বড় বিষয় নয়। অনেক প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচচিত হয় একজন নেতা। আবার অমনেকেই হারে। হার আর জিত মিলিয়েই নির্বাচন। কিন্তূ এ কেমন হার যেখানে নিজের ভোট টাও নিরুদ্দেশ। আদৌ কি পুনর্গণনে কোনো পরিবর্তন আসবে! হতাসা ঘেরা নজরুল।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *