মাহফিলে যাওয়ার পথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত

বরিশালের মুলাদীতে মাহফিলে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. ফরহাদ হোসেন প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বরিশাল-মুলাদী সড়কের কাজীরচর হাওলাদার সেতুর কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ড. ফরহাদ বরিশালের মুলাদী উপজেলার চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল কাদেরের ছেলে। তিনি একটি মাহফিলে অংশ নিতে মাহিন্দ্রা টেম্পুতে করে চরলক্ষ্মীপুর নন্দীরবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। হাওলাদার সেতুর কাছে টেম্পুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে তিনি গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা ড. ফরহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাহফিল আয়োজন কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন জানান, মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে ড. ফরহাদ ঢাকা থেকে চরলক্ষ্মীপুর যাচ্ছিলেন। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় তার জীবন শেষ হয়ে যায়।

মুলাদী থানার ওসি জহিরুল আলম উপসচিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।


জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে গোলাম রাব্বানীর পোস্ট

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী জামায়াত নেতাদের নিয়ে মন্তব্য করেছেন যে, ‘একাত্তরের ভূমিকাসহ বহুবিধ বিতর্ক-সমালোচনা থাকলেও তাদের আদর্শে বিশ্বাসীদের দায়িত্ব নেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টার জন্য তারা অনুকরণীয় প্রশংসার দাবিদার’,

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি এই বক্তব্য প্রকাশ করেন।

গোলাম রাব্বানী তার পোস্টে লেখেন, ‘একই নীতি, আদর্শ, চেতনায় বিশ্বাস করা নিজ দলের নেতা-কর্মী সমর্থকদের ‘বৃহৎ আদর্শিক পরিবারের সদস্য’ হিসেবে ওউন করা, যেকোনো ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনে ও সংকটে আন্তরিকতা ও সাধ্যের সেরাটা দিয়ে পাশে থাকা, অত্যাবশ্যক রাজনৈতিক গুণ।’

অন্য দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতের তুলনা করে তিনি বলেন, ‘আপনি স্বীকার করুন বা না করুন, আদর্শিক সহযোদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর দলগত ও ব্যক্তিগত চর্চায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে জামায়াত ও তাদের নেতাকর্মীরা ঢের এগিয়ে। বহু চড়াই-উতরাই, প্রতিকূলতার মাঝেও যা তাদের টিকে থাকার অন্যতম সহায়ক শক্তি, কার্যকর টনিক।’

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি জামায়াতের অবদান তুলে ধরে রাব্বানী লেখেন, ‘দলীয় ও ব্যক্তিগত ফান্ডে নেতাকর্মীদের শিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কোচিং ও দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তা, নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানে একচ্ছত্র অগ্রাধিকার, হতাহত ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা, পরিবারসহ আর্থিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়াসহ এমন বহু প্রাসঙ্গিক কারণে আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানে নিদারুণ কষ্ট ও হতাশায় ভোগে, তাদের নেতাকর্মীরা সেথা দলীয় সহায়তায় দারুণ মানসিক জোর পায়!’

‘৭১-এর ভূমিকাসহ বহুবিধ বিতর্ক-সমালোচনা থাকলেও তাদের আদর্শে বিশ্বাসীদের দায়িত্ব নেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টার জন্য তারা অনুকরণীয় প্রশংসার দাবিদার।’

রাব্বানী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের উদ্দেশে বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে দলীয় ফান্ড গঠন এবং ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টে শীর্ষ নেতাদের ভূমিকা জরুরি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিপদে সহায়তা প্রদানের একটি সুন্দর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।’

তিনি তার পোস্টে দলের ভেতরে এই সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং আদর্শিক নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।