দিল্লির আপত্তি উপেক্ষা: ভারতের সীমান্ত ঘেষে বাংলাদেশের বিমান ঘাটি তৈরির সিন্ধান্ত

বাংলাদেশে একটি নতুন বিমান ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যা ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিকে আরও আধুনিক করার জন্য। তবে, দিল্লি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্তে এমন সামরিক স্থাপনা দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দিল্লির মতে, এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে পারে।

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, এবং এটি অন্য কোনো দেশের প্রতি হুমকি নয়।

এই ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান করার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।

দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। এই বিষয়ে ভবিষ্যতে দুই দেশের অবস্থান কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।


দেশে ফিরেই বাংলাদেশ নিয়ে যে বক্তব্য দিলেন ভারতীয় ট্রাকচালকরা

বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিরাপদ বলে জানিয়েছেন সম্প্রতি ফিরে যাওয়া ভারতীয় ট্রাকচালকরা। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তাদের কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি।

ভারতে বাংলাদেশ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই এই বক্তব্য এসেছে। কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, অবরোধ ও মিছিল চলছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতেও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। এমনকি আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনেও হামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার এই অভিযোগগুলোকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে এবং ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে বাস্তব পরিস্থিতি দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তবুও উত্তেজনা কমেনি।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পেট্রাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকদের সঙ্গে কথা বলেন সাংবাদিকরা। তারা জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। একজন চালক বলেন, “সব কিছু ভালো চলছে। আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়নি।”

এই ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে চলমান বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফেরত যাওয়া ট্রাকচালকরা তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জানিয়েছেন, দেশটির পরিবেশ শান্তিপূর্ণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবেই চলছে।