প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব কে এই ফয়েজ আহম্মদ, জানা গেল পরিচয়

সাংবাদিক ফয়েজ আহম্মদকে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপ-সচিব আবুল হায়াত মো. রফিকের স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিবের শূন্য পদে ফয়েজ আহম্মদকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই পদে তিনি পঞ্চম গ্রেডের সর্বোচ্চ ধাপে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

ফয়েজ আহম্মদ, যিনি সাংবাদিকতায় “আহম্মদ ফয়েজ” নামে পরিচিত, বর্তমানে ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ-এর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার সাংবাদিকতার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেতে সাহায্য করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ পদে তার নিয়োগ প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।


ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকার রহস্য: মুখ খুললেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা

সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে ১৩৪ কোটি টাকা জমা হয়েছে এবং এর মধ্যে তিনি ১২০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে দাবি উঠেছে। বর্তমানে তার অ্যাকাউন্টে স্থিতি রয়েছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই অর্থের উৎস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে।

অবশেষে এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন মুন্নী সাহা। তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিস্তারিত একটি স্ট্যাটাসে এই টাকা, তার উৎস এবং নিজের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কথা বলেছেন।

মুন্নী সাহা জানিয়েছেন, ওয়ান ব্যাংকের যে অ্যাকাউন্টের কথা বলা হচ্ছে, সেটি তার স্বামী কবির হোসেন তাপসের ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট, যেখানে তিনি কেবল নমিনি হিসেবে যুক্ত। তিনি কোনোভাবেই অ্যাকাউন্টের লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।

তিনি বলেন, “২০১৭ সালে খোলা এই অ্যাকাউন্টে গত সাত বছরে ১৩৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মানে প্রতিটি কার্যাদেশের বিপরীতে টাকা জমা হয়েছে এবং সেই টাকা সরবরাহকারী, কর্মচারী বেতন, ভ্যাট, করসহ বিভিন্ন খরচে ব্যয় হয়েছে। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার স্বামী দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বিজ্ঞাপন ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং এই অর্থ তার ব্যবসার অংশ।

মুন্নী সাহা অভিযোগ করেন, বিভ্রান্তিমূলক শিরোনাম ও খবর প্রচারের মাধ্যমে জনমনে ভুল ধারণা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “১৩৪ কোটি টাকার পুরো বিষয়টি লেনদেন হিসেবে তুলে ধরা হয়নি, বরং এটিকে এককালীন জমা হিসেবে দেখিয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হয়রানির মুখে ফেলা হয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে গর্বিত যে কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিনি। তবে আমাকে নিয়ে চালানো বিভ্রান্তিকর প্রচারণা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

এই ঘটনায় নিজেকে “blessings in disguise” হিসেবে অভিহিত করে তিনি জানান, সরকারের তদন্ত প্রক্রিয়া তার স্বচ্ছতা প্রমাণ করেছে।

শেষে তিনি বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারকারী সাংবাদিকদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে বলেন, “আশা করি তারা ভবিষ্যতে নিয়মতান্ত্রিক সাংবাদিকতার চর্চা করবেন।”