আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি চন্দনকে পুলিশ ভৈরব রেলস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে চন্দনকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নেতৃত্ব দেয় ভৈরব থানা ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার যৌথ পুলিশ দল। ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমডি শাহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হত্যাকাণ্ডের সময়কার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কমলা রঙের টি-শার্ট এবং কালো প্যান্ট পরিহিত চন্দন (৩৫) ছুরি হাতে সাইফুলকে আঘাত করছেন। মাথায় হেলমেট পরা চন্দনকে ওই ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়।

পুলিশ জানায়, হত্যার পর থেকেই চন্দন আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে চট্টগ্রামে এনে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতন জাগোর জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। চিন্ময়ের অনুসারীরা আদালত থেকে প্রিজন ভ্যান বের হতে বাধা দেন এবং আইনজীবী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবী সাইফুলকে আদালত চত্বরের বাইরে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় সাইফুলের ভাই আরও ১১৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে চন্দনের গ্রেপ্তার ঘটনাটিকে নতুন মোড় দিয়েছে, যা বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।


ভারতে জন্মদাতা বাবাকে বিয়ে করলেন ২৪ বছরের মেয়ে, তোলপাড় নেট দুনিয়া

ভারতে সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ২৪ বছর বয়সী এক তরুণী দাবি করছেন, তিনি তার ৫০ বছর বয়সী জন্মদাতা বাবাকে বিয়ে করেছেন। এই দাবি সামাজিক ও নৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে, কারণ এটি সাধারণ বিশ্বাস এবং সামাজিক নিয়মের পুরোপুরি বিপরীত।

তরুণী ভিডিওতে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, এই ব্যক্তি তার সৎ বাবা নন, বরং প্রকৃত জন্মদাতা। ভিডিওটি ভারতের সমাজবাদী পার্টির নেতা জয় সিংহ যাদব এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে তরুণীকে লাল শাড়ি, মঙ্গলসূত্র এবং সিঁদুর পরে তার বাবার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

তরুণী বলেন, “তিনি আমার বাবা, তবে এখন থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী।” বাবাও সমর্থন দিয়ে বলেন, “হ্যাঁ, ও আমার মেয়ে। এতে সমস্যা কোথায়?”

ভিডিওতে তরুণী আরও বলেন, “সমাজ হয়তো আমাদের সমালোচনা করবে, কিন্তু এতে আমার কোনো লজ্জা নেই। আধুনিক যুগে আমরা বাস করছি, সভ্যতা অনেক দূর এগিয়েছে। তাই বাবা-মেয়ের বিয়েকে সহজভাবে নেওয়া উচিত।” তিনি আরও যোগ করেন, “অনেক দিন ধরে আমি বাবাকে ভালোবাসতাম। অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা স্বামী-স্ত্রী হব।”

এই ভিডিও ইতিমধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি ভিউ পেয়েছে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ এই সম্পর্ককে বেআইনি, অস্বাভাবিক, এবং সমাজের নীতির পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন। অনেকেই এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত।

এই বিতর্কিত ঘটনাটি এখন শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এটি সামাজিক, নৈতিক এবং আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন করছে এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।