‘আমি জামায়াত করি, ছেলে ছাত্রলীগে পদধারী ছিল জানতাম না’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ফজলে রাব্বিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে শনিবার রাতে আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। রাব্বি জুলাই মাসে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজেকে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, “আমি সকল নোংরা রাজনৈতিক জীবন থেকে নিজেকে অব্যাহতি দিলাম। আমি সাধারণ ছাত্র ও সাধারণ নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই এবং ন্যায়ের পক্ষে থাকবো।”

রাব্বি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন এবং আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী গ্রামের শওকত আলী শিকদারের ছেলে।

শওকত আলী জানান, ছেলেকে কোন মামলায় আটক করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। তিনি বলেন, “আমি থানায় গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা স্পষ্ট করে বলেনি। শুধু বললো কয়েকটি ধারা দিয়েছে, ১০২ এবং ৩৪ এর মতো কিছু ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।”

শওকত আলী বলেন, ‘গন্ডগোলের সময় তো রাব্বি বাসায় ছিল। কোনো আন্দোলনেই যায়নাই। আন্দোলনের পর আগস্টের শেষের দিকে কোচিং খুললে ঢাকায় যায়। আমি জামায়াত করি অনেক আগে থেকেই। ছেলে যে ছাত্রলীগে পদধারী সেটা আমি জানতাম না। আমি না করেছিলাম এসব করলে।

ছেলে বললো, হলে ভাইদের সাথে থাকতে হয়। তাই টুকটাক ছাত্রলীগ করতে হয়।’ উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মারধরের নেতৃত্বে ছিলেন ফজলে রাব্বী। আন্দোলনে তার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Scroll to Top