বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাংক বন্ধ নিয়ে যা জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দুর্গাপূজা উপলক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক নির্বাহী আদেশে ১০ অক্টোবর সারাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে একই দিনে ব্যাংক বন্ধের বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট তদারকি বিভাগ জানায়, ৮ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সরকার নির্বাহী আদেশে ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ছুটি ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার পর বাংলাদেশে কর্মরত সব তফসিলি ব্যাংক ১০ অক্টোবর বন্ধ থাকবে। যাইহোক, সমুদ্র/স্থল/বিমানবন্দর এলাকায় (বন্দর ও শুল্ক এলাকা) অবস্থিত ব্যাঙ্কের শাখা/উপ-শাখা/স্ট্যান্ডগুলি ৫ই আগস্ট ২০১৯-এ জারি করা DOS সার্কুলার লেটার নং ২৪-এর নির্দেশিকা অনুসারে খোলা থাকবে। . .

ব্যাংকিং কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতার মধ্যে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে, ১০ অক্টোবর বিকেলে, সরকার নির্বাহী আদেশে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে একটি নোটিশ জারি করে। সরকার দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১০ অক্টোবর সারাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে বলে জানা গেছে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস সরকারি এই ছুটির দিনে বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এসব সংশ্লিষ্ট সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মচারীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

বলা হচ্ছে, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসব সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও শ্রমিক এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও শ্রমিকরাও ছুটির বাইরে থাকবে এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।


গোপন তথ্য ফাঁস, আন্দোলনের সময় ছাত্রদের সঙ্গে যে কুকর্ম করেছিলেন ঊর্মি

চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি কঠোরভাবে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেছিলেন। ছাত্রনেতাদের অভিযোগ, তিনি আন্দোলনের সমন্বয়কদের ফোন দিয়ে মিছিল, মিটিং এবং কর্মসূচির সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতেন। কখনও তিনি বলতেন, আধা ঘণ্টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে হবে, কখনও আবার এক ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিতেন।

গত মঙ্গলবার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়করা এসব তথ্য প্রকাশ করেন। এর আগে সোমবার তাকে ওএসডি করার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, যা নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

লালমনিরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. হামিদুর রহমান বলেন, “আমরা যখন আন্দোলন শুরু করি, তখন ঊর্মি ম্যাডাম সরাসরি আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেন। তিনি আমাদের সময়সীমা বেঁধে দিতেন এবং দ্রুত কর্মসূচি শেষ করার জন্য নির্দেশ দিতেন।”

আরেক সমন্বয়ক মো. আরমান আসিফ বলেন, “তিনি প্রতিদিন ফোন করে আমাদের কর্মসূচির খোঁজ নিতেন এবং নির্দেশনা দিতেন। একদিন তো তিনি এক ঘণ্টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করার সময় বেঁধে দেন। কিন্তু আমরা তার আদেশ মানিনি।”

ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বাসিন্দা। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ৪০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। চাকরিতে যোগদানের পর তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিতি পান। তবে তার সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সমালোচনা চলছে।