সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। অন্যান্য এমপিদের মতই নিজ এলাকার উন্নয়নে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন সময়ে নানা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে হয়েছে তাকে। আর এবার সংসদে এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন তিনি। জাতীয় সংসদে আজ শনিবার (২৭ নভেম্বর) নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রী অনেক দুঃখ করে বলেছেন—আমরা ভালো কাজের প্রশংসা করি না। কিন্তু, মাননীয় স্পিকার—কথাটা সঠিক নয়।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘(মাননীয় স্পিকার) পার্লামেন্টে দেখবেন—আমার এলাকায় যে রাস্তা হয়েছে বা উন্নয়ন হয়েছে, আমি তা এ সংসদে কয়েক বার বলেছি। শুধু বলেছিই নয়, এত বার বলছি—বলতে গিয়ে পাবলিক আমাদের দালাল বলে। আর কত বলব? আমরা এখন দালালির নামটা মুছতে চাই। এর পরেও যদি আপনাদের মন না ভরে, আর তো কিছু করার নেই।’
মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘এ সরকার অনেক কাজ করেছে কোনো সন্দেহ নেই। আমার এলাকায়ও অনেক কাজ হয়েছে। কিন্তু, অতীতে যারা ছিল বা আমরা ছিলাম—আমরাও কিছু করেছি, করিনি যে তা নয়। বগুড়া ও রংপুরে প্রথম হাইওয়ে আমরা করেছি।’
‘শুধু তাই নয়। আপনারা অনেক ব্রিজ করেছেন। কিন্তু, আমি খুশি হতাম—মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রী… তাঁর বাড়ি নোয়াখালী। তিনি যদি বলতেন—মেঘনার প্রথম ব্রিজটা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ করেছিলেন, যে ব্রিজে উনি যাতায়াত করেন। কিন্তু উনি তা বলেননি’, যোগ করেন মুজিবুল হক চুন্নু।
এ সময় সাংসদদের অনেকে বলে ওঠেন, ‘ভেঙে গেছে।‘
তখন জাপার মহাসচিব হাসিমুখে বলেন, ‘আপনারা এত গেছেন (যাতায়াত করেছেন), আপনাদের চাপে তাই ভেঙে গেছে।’
মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘রোকেয়া সরণি এরশাদ করেছেন। বিজয় সরণি, সায়েদাবাদ ব্রিজ এরশাদ করছেন। আমরাও খুশি হব—আমরা কিছু করেছি—এটা (যদি) আপনারা বলেন।’
এ সময় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী আপনারা যদি চান বিরোধী দল আপনাদের প্রশংসা করবে, এটা মনে হয় ঠিক নয়। বিরোধী দলের কাজ সরকারে কী কী ফল্ট আছে, তার সমালোচনা করা।’
মুজিবুল হক চুন্নু বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তার জন্ম ১৯৫৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে জাপার মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে নিজ এলাকার উন্নয়ন নিয়ে রীতিমতো বেশ কয়েকবার আলোচনায় এসেছেন তিনি।