তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিরাপত্তার স্বার্থে আজ (বৃহস্পতিবার) ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনে সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখের বেশি নগদ তোলা যাবে না। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধু আজকের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে ব্যাংকগুলিকে জানানো হয়েছে।

গত বুধবার রাতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিকে এক জরুরি বার্তায় এ নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশিকা অনুসারে, একজন গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যেকোনো পরিমাণ নগদ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।

জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থী রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা তোলার চাপ দেখা যায়। এই তহবিলগুলো যাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অবৈধ কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই ব্যবহার না হয় সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ অর্থ উত্তোলন নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল রাতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজকের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে শাখাগুলোতে টাকা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে কোনো সরকার নেই, আজ নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে। এই সময়ে কেউ যাতে নগদ টাকা নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন,এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া প্রয়োজন ছিল। ইতোমধ্যে নগদ টাকার চাপ তৈরি হয়েছে। ফলে এই চাপ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে। তাছাড়া, এখন ব্যাংকগুলো এমনিতেই একটু তারল্য সংকটের মধ্যে রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অত্যন্ত খারাপ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শাখাগুলোতে ক্যাশ পরিবহন করার জন্য সুব্যবস্থা নেই। মানি ট্রান্সফার কোম্পানিগুলো ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডাকাতির খবর শোনা যাচ্ছে। তাই সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত এসেছে। তবে, আশা করি নতুন সরকার গঠিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হবে। একই সাথে ব্যাংকিং লেনদেনেও স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে।