কবে চালু হচ্ছে ফেসবুক, টিকটক? যা জানা গেল

দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে ফেসবুক ও টিকটকের মতো জনপ্রিয় দুটি অ্যাপ। কবে এ দুটি অ্যাপের সেবা পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নই এখন ঘুরছে সবার মনে।

এ বিষয়ে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে চালু করা শুরু হয় গুগলের সব সার্ভিস।

ওই বক্তব্যে ইমদাদুল হক আরও বলেন, গুগলের সব সেবা চালু হওয়ায় ধীরে ধীরে নেটের গতি বাড়বে আশা করছি। তবে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট এখনও চালু না হওয়ায় ফেসবুক, টিকটক, আকামাই, বাইসান এই চারটি সার্ভার বন্ধ রয়েছে। এ সার্ভারগুলো আপ হতে আরও সময় লাগবে।

অনদিকে আজ রোববার ২৮ জুলাই বিকাল ৩টায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। তবে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক এবং টিকটকের মত জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, দেশের সংবিধান ও আইন না মানায় ফেসবুক-টিকটক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর জবাব দিতে চারদিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৮ জুলাই) বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিফোন অপারেটর বাংলাদেশ এবং মোবাইল ফ্রিনান্সিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, গতকাল (শনিবার) ফেসবুক-টিকটক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তাদের জবাব দিতে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

দেশের সংবিধান ও আইন না মানায় এই চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, আমরা যে কন্টেন্টগুলো মুছতে বলেছি তার খুব কমই তারা মুছেছে। উগ্রপন্থিদের পেজ চালু থাকলেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৫০টি পেজ টেকডাউন করে দিয়েছে।

আজ (রোববার) বিকেল ৩টায় সারা দেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু হবে জানিয়ে পলক বলেন, বাংলাদেশ কখনোই ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি। কেপিআইগুলোতে ইন্টারনেট ছিল না। আমরা কোনও অ্যাপ বন্ধ রাখার পক্ষে নই। বিশ্বের মোড়লরাই এসব করে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সংযোগ চালুর পর মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা তিন দিনের জন্য ৫ জিবি বোনাস পাবেন। সব অপারেটরের গ্রাহকরাই এই সুবিধা পাবেন।


ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নুসরাত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে ডিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে নুসরাত, আসিফসহ পাঁচজনকে ডিবির হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদের পরিবারকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কারী সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তিন সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদেরও ডিবি হেফাজতে নিয়েছে।

নুসরাত তাবাসসুম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর ছাত্রী। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের আবাসিক ছাত্রী। জানা যায়, রোববার ভোরে ডিবির পরিচয়ে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। অন্যদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফকে শনিবার রাত ১টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি।