বাবার দেড় কোটি টাকা চুরি করে তুলে দিলেন স্বামীর হাতে!

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাবার সিন্দুক ভেঙে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা চুরি করে নিজের পছন্দে বিয়ে করা স্বামীর হাতে তুলে দিয়েছেন মিনা হামিদ নামের এক তরুণী। টাকা চুরির মামলার চার দিন পর ওই তরুণী ও তার স্বামী সাকিবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া ৯০ লাখ টাকা।

জানা যায়, মোহাম্মদপুরে নিজ বাসা থেকে দেড় কোটির বেশি টাকা চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন ঠিকাদার ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ। মামলার চারদিন পর পুলিশ জানতে পারে আবদুল হামিদের একমাত্র মেয়ে মিনা হামিদ টাকা চুরির সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় ওই তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে মিনা হামিদ পুলিশকে জানায়, সে তার বাবার সিন্দুক থেকে টাকা চুরি করে তার স্বামী সাকিবুল হাসানকে দিয়েছে। পরে সাকিবুল হাসানকে আটক করে তার কাছ থেকে চুরি হওয়া ৯০ লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক ভূইয়া গণমাধ্যমকে জানান, ব্যবসায়ী হামিদের টাকা চুরির সঙ্গে তার একমাত্র মেয়ে মিনা হামিদ ও তার স্বামী সাকিবুল জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে তারা টাকা চুরির কথা স্বীকার করে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। মিনা হামিদ ও সাকিবুল হাসান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।


বাংলাদেশে কোথাও কোনো দুর্নীতি করি নাই: মতিউরের স্ত্রী লাকী

ছাগল কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী বলেছেন, রায়পুরাসহ বাংলাদেশের কোথাও আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। যদি দুর্নীতি করে থাকি, তাহলে আইন আছে। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। তার মাধ্যমে আমার বিচার হবে। আমি সব বিচার মাথা পেতে নেব।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মিজারনগর ইউনিয়নের বাঙালিনগর মাঠে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

লাকী আরও বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।গণঅভ্যুত্থানের নেত্রী ছিলাম। সরকারি চাকরি করেছি। কোনো অন্যায় করিনি। আমি আমার পথে এগিয়েছি। হুট করে এখানে (রায়পুরা) এসে রাজনীতি করি নাই। রাজনীতি আমার একটা নেশা। এর আগে মহিলা আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য পদে ছিলাম। আমি নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলাম। সেখানে দলীয় প্রতীক (নৌকা) না পাওয়ায় আমি নির্বাচন করিনি। সে সময় অনেকে অনেক কথা বলেছে কিন্তু আমি তখন লোভে পড়ি নাই। তার প্রেক্ষিতেই আমাকে জেলা আওয়ামী লীগে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, তিনি কোনো কিছুর বিনিময়ে বা কারও কাছে ভিক্ষা চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের পদে আসেননি। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি আবারও প্রার্থী হবো। পাশে থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র রুখতে পারবেন না। আমাকে সুযোগ দিলে আমি নির্বাচিত হয়ে সেবা করব। আমি সেবক হতে চাই, শোষক নয়। আপনারা যদি আমাকে আর একটি সুযোগ দেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমার বাকি জীবন আপনাদের পাশে থাকবে।

প্রসঙ্গত, লায়লা কণিক লাকী ২০২২ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের চাকরি ছেড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছাদেক। পরে শূন্য পদে চেয়ারম্যান পদে লায়লা কনিক লাকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

সম্প্রতি তার স্বামী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন। এরপর লাকির বিপুল সম্পত্তির পাশাপাশি তার স্বামীর খবরও গণমাধ্যমে আসে। এ মামলায় আদালত তার স্বামী, সন্তানসহ তার সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেন।