আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এবং অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী একটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য নাগরিক বসবাস করছে। এবং এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন স্বফলতার সরূপ নানা ধরনের পদকে ভূষিত হচ্ছে। সম্প্রতি এমনি এক বাংলাদেশীর নাম উঠে এসেছে। তিনি সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব হিউস্টনের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ হালিম এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড বা প্রেসিডেন্টের আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। তার এ অর্জনে উক্ত সংগঠনসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অভিনন্দন জানিয়েছেন। ২৫ বছর যাবত শাহ হালিম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব হিউস্টনের কর্মী হিসেবে কাজ করে জোরালো ভূমিকা ও অবদান রেখে যাচ্ছেন। তিনি ছয় বছর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বাংলাদেশ-আমেরিকা সেন্টার স্থাপনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও তিনি বিগত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় মূলধারার সংগঠনসহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।
উক্ত সংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অসংখ্য সমাজকল্যাণমূলক কাজে অবদান রেখেছেন। তিনি মূলধারায় অনেক সংগঠনের সঙ্গে সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমসহ মানবাধিকার কার্যক্রম, সামাজিক ন্যায্যতা ইত্যাদি বিষয়ে অবদান ও ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের অধিবাসী শাহ হালিম ব্যক্তিগতভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন তার স্বপ্নপূরণের জন্য। তার পিতা প্রয়াত শাহ আব্দুল হালিম ছিলেন একজন সমাজকর্মী এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজিএমইএ। হালিমের পরিবার ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং তার পূর্বপুরুষদের অনেকেই সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। শাহ হালিম তার বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এবং বিশেষ করে এ সম্মানজনক প্রেসিডেন্টস লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন।
শাহ হালিমের এই অর্জন দেশের জন্যও গৌরবের এবং সম্মানের। শাহ হালিমের মত বিশ্বের বিভিন্ন দেহসেই অনেক বাংলাদেশী রয়েছে যারা তাদের সফলতার জন্য প্রায় সময় বিভিন্ন মাধ্যমে প্রধান আলোচনায় উঠে এসেছেন। আসলে কোন কাজের সফলতা অর্জন জন্য সৎ এবং কঠোর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। সৎ এবং কঠোর পরিশ্রমীঘলে যে কোন কাজেই খুব স হজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব।