সম্প্রতি গত কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রীতিমতো নানা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। যেখানে বঙ্গবন্ধুসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্য করার অভযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগের আলোকে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে।
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১টায় তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমি কোন অন্যায় করিনি। আমি জনগণের জন্য কাজ করি। সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে আমি কাজ করি। সিটি কর্পোরেশন থেকে আমি কোন ধরনের ভাতা নেইনি। তাই ২০১৩ সালের পর থেকে আমাকে প্রাণে শেষ করতে আমার পেছনে কিছু লোক লেগে ছিল। তারাই আমার বিষয়গুলো নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করেছে।
তিনি বলেন, আমার বিষয়ে নেত্রীকে ভুল বুঝানো হয়েছে। আমার বক্তব্য নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে।
আমার অস্তিত্বে জড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা। এই মানুষগুলোর জন্য আমি ফাঁসিতে ঝুলতেও রাজি।
মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, আমাকে বহিষ্কার করে মানসিকভাবে আঘাত দেয়া হয়েছে যা আমি ও আমার পরিবার মেনে নিতে পারছি না। আমি বহিষ্কারের বিষয়ে নেত্রীর কাছে রিভিউ করব।
তিনি বলেন, আমি পদ চাই না। আমি আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে থাকতে চাই।
এদিকে এর আগে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়র জাহাঙ্গীর। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবিও বেশ ভাইরাল হতে দেখা যায়। তবে এ অভিযোগের আলোকে ইতিপূর্বে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।