সাত জেলাতে (Seven districts) সাতটা বিয়ে(7 Marriage) করলেন একাই যুবক তাও আবার প্রবাসী সেজে। প্রতারণা(Cheating) করলেন সেই সব এলাকার বাসিন্দাদের সাথে, বিদেশে নিতে চাওয়ার কথা বলে বড় অঙ্কের টাকা(Large sums of money) হাতিয়ে। বহু বিবাহের প্রচলন বাংলাদেশের(Bangladesh) অনেক আগে থেকেই। বিয়ের পর প্রতারণার খবরটাও খুব একটা নতুন নয়। বিভিন্ন জায়গাতেই দেখা যায় বিয়ের পরে প্রতারণার শিকার হতে। তবে এ এক ভিন্ন গল্প। এখানে প্রতারিত শুধুই স্ত্রীরাই নয়, বরঞ্চ তাদের এলাকার মানুষ ও।
বিদেশে পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাতের(Embezzlement) অভিযোগে শাকিল আজাদ(Shakil Azad) নামে ২৯ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করেছে র্যাব(RAB)। র্যাব জানায়, প্রতারণার উপায় হিসেবে বিয়েকে বেছে নিয়েছেন ওই যুবক। যেখানে তিনি বিয়ে করেন সেখানে নিজেকে কাতারি প্রবাসী হিসেবে পরিচয় দেন। এরই মধ্যে প্রতারক ভুক্তভোগীদের কাছে ‘কাতার জামাই(Qatari son-in-law)’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার(Comilla) কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন(Major Mohammad Shakib Hossain) এ তথ্য জানান। তিনি জানান, প্রতারক তার শ্বশুর এলাকার বেকার যুবকদের নতুন বিয়ে করে কাতারে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি(Promise) দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রথমে স্বল্প পরিচিত ব্যক্তির এলাকায় যাওয়ার অজুহাতে দরিদ্র বা অসহায় পরিবারের মেয়েকে প্রবাসী হিসেবে বিয়ে দিতেন। এভাবে সাত জেলায় সাতবার বিয়ে করেছেন তিনি। পরে ভুক্তভোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর(Law enforcement) কাছে অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশব্রড এলাকা থেকে ওই যুবককে আটক করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। তার বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায়।
মেজর সাকিব বলেন, আজাদের চতুর্থ স্ত্রী(Fourth wife) ১৫ দিন আগে কুমিল্লা র্যাব(Comilla rab) অফিসে অভিযোগ করেন। এরপর তাকে আটক করে র্যাব।
সত্য কখনো লুকিয়ে থাকে না, তাইতো অপরাধী ধরা পড়লেন র্যাবের হাতে। এখন দেখার বিষয় প্রতারিত না তাদের হারানো টাকা ফেরত পায় কিনা। আর এমন প্রতারণার কি সাজা দেয় এক যুবককে। এখনো দেখা বাকি আদতেও সাতজন নাকি আরো রয়েছে তার স্ত্রীর নামের তালিকায়।