বর্তমান সময়ে দেশের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করছেন কে এম নূরুল হুদা। তিনি এই কমিশনের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করছেন। সম্প্রতি তাকে উদ্দেশ্যে করে বেশ কিছু কথা জানালেন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কোনো লজ্জা-শরম নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় ফখরুল এ মন্তব্য করেন। ‘দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশের নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, খবরের কাগজটা খুললেই দেখবেন, এত বড় বড় রা/ম/দা, ছু/রি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন হচ্ছে। আবার মন্ত্রীরা বলছেন, এটা তেমন কিছু না। একটু সাধারণ ঝগড়াঝাঁটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলছেন, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন হয়েছে। ওই যে সং/ঘ/র্ষ হয় এর দায়-দায়িত্ব আমাদের না। এই ভদ্রলোকের লজ্জা-শরম বলতে কিছু নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে তিনি ধ্বং/স করলেন। বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আজকে কী করছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেটাতে সাধারণ মানুষেরা জড়িত হয়, সেটাকেও শেষ করে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে একশোর ওপরে লোক মা/রা গেছে। এর সবকিছু মূলে হচ্ছে এই সরকার, সবকিছুর মূলে হচ্ছে এই শেখ হাসিনা। তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করেছে। উদ্দেশ্য একটাই এখানে আর কেউ রাজনীতি করবে না। তারাই ক্ষমতায় বসে থাকবে, আর সমস্ত সম্পদ লু/ট করে বিদেশে পা/চা/র করবে।
সম্প্রতি দেশের বেশ কিছু জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যপক হ/তা/হ/তের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনা স্বাভাবিক বলে মনে করছে দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতক দল এবং নির্বাচন কমিশন।