যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর চিঠির জবাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চিঠির জন্য প্রথমে ডোনাল্ড লু, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে ধন্যবাদ জানান। তবে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে সংলাপের জন্য সব পরিবেশ অনুকূলে থাকলেও বাস্তব ফলাফল বয়ে আনবে এমন কোনো অর্থবহ সংলাপের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই।
কাদের লিখেছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করতে আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধু ও অংশীদারদের দেওয়া সাহায্য ও সহযোগিতাকে আ.লীগ স্বাগত জানায়। শুরুতেই আমি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখতে সর্বস্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের দলের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।
”অনেক মাস ধরেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিঃশর্ত সংলাপের দরজা খোলা রেখেছিল’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে কাদের লিখেছেনঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই জাতীয় সংলাপের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অনড় থাকায় এ জাতীয় সংলাপ বাস্তবায়িত হয়নি।”
ওবায়দুল কাদের চিঠিতে লিখেছেন, ‘বর্তমানে বিএনপি ও তাদের সমমনা মিত্র জামায়াতে ইসলামী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধের মতো জোরালো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে।
এবং এই ধরনের অবরোধ কার্যকর করার উপায় হিসাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মতে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর অবরোধকারী সমর্থকদের দ্বারা মোট ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের মামলা হয়েছে।”
সংলাপ নিয়ে লেখা হয়েছে: এভাবে চলমান অবরোধ এবং এই ধরনের কর্মসূচির প্রধান দাবির মধ্যে বিএনপি ও অন্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বসলেও অর্থবহ সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই। উপরন্তু, আগামী সপ্তাহে, রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম চূড়ান্ত করতে তাদের পুরো সময় ব্যয় করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ৩০০টি আসনের প্রার্থীদের পর্যালোচনা ও চূড়ান্ত করা, দলীয় ইশতেহার তৈরি করা, প্রচারণার কৌশল চূড়ান্ত করা, ভোটারদের কাছে প্রচারণা ইত্যাদি। এর অর্থ হল, পরিবেশ সংলাপের অনুকূল হলেও, অর্থপূর্ণ সংলাপের জন্য পর্যাপ্ত সময় (এখনও) নেই। যে বাস্তব ফলাফল প্রদান করবে. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সকল আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সাথে অংশীদারিত্বকে গুরুত্ব দেয় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের জনগণের সামনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।