দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুবই সহজেই যোগাযোগ সংযোগ স্থাপনের জন্য নদীর উপর সেতুর ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতু পারাপারে যানবাহনের জন্য টোলের পরিমান বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এমনকি এই বিষয়ে জারি করেছে এক প্রজ্ঞাপন।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতু পারাপারে যানবাহনের টোল বৃদ্ধি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেতু বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে সেতু দুটির টোলের হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যমুনা নদীর ওপর স্থাপিত বঙ্গবন্ধু সেতুর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। সবশেষ ২০১২ সালে এই সেতুর টোল বাড়ানো হয়েছিল। আর মুক্তারপুর সেতুর মাধ্যমে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নামে পরিচিত এই সেতু। ২০০৮ সালে চালু হওয়া এই সেতুর টোল এবারই প্রথম বাড়ানো হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোটরসাইকেলের নতুন টোল হবে ৫০ টাকা। যা ছিল ৪০ টাকা। কার ও জিপের বর্তমান টোল ৫০০ টাকার পরিবর্তে হবে ৫৫০ টাকা। ছোট বাসের ক্ষেত্রে টোল ৬৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। বড় বাসের টোল ৯০০ টাকার পরিবর্তে হবে ১ হাজার টাকা। ছোট ট্রাকের টোল ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। মাঝারি ট্রাকের (৫-৮ টন) টোল ১ হাজার ১০০ টাকার পরিবর্তে হবে ১ হাজার ২৫০ টাকা। ৮-১১ টনের ট্রাকের টোল ১ হাজার ৪০০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৬০০ টাকা করা হয়েছে। বড় ট্রাক ও ট্রেইলরের টোল ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। আগে ট্রেইলর বা অন্য বড় যানের জন্য আলাদা টোল ছিল না। মুক্তারপুর সেতুতে কার/টেম্পোর টোল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা, ছোট ও বড় বাসের টোল ১০০ ও ২০০ টাকার স্থলে হবে ১৫০ টাকা ও ২৫০ টাকা হয়েছে। ট্রাকের টোল ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ট্রেইলরের জন্য নতুন করে শ্রেণিভেদে ৬০০ থেকে ১ হাজার পর্যন্ত টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকার বিপুল পরিমানে অর্থ ব্যয় করে যোগাযোগা ব্যবস্থা সহজ করার লক্ষ্যে রাস্তা-ঘাট এবং সেতু নির্মান করছে। তবে এই সেতু পারাপারে যান বাহনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পরিমানে টোল আদায় করছে সরকার। অবশ্যে এই টোলের আদায়কৃত অর্থ দিয়েই পরবর্তীতে সেতু নির্মান এবং মেরামত করা হয়ে থাকে।