শোবিজ অঙ্গনের সসুপরিচিত চেনা মুখ মাসুম আজিজ। তিনি তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৪০০ এর অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। এমনকি অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি সিনেমায়। তিনি তার কাজের মধ্যে দিয়ে দর্শক মাঝে ব্যপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। সম্প্রতি তার চলমান কর্মবস্থতা এবং আগামী দিনের পরিকল্পনা সঙ্গে বেশ কিছু কথোপকথন হয়েছে।
গুণী অভিনেতা মাসুম আজিজ। শুরু থেকেই ছোট পর্দায় নিজের সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন তিনি। ১৯৮৪ সাল থেকে অভিনয় জগতে পদচারণা এই বর্ষিয়ান অভিনেতার। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়েই তিনি থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে বিটিভিতে প্রথম নাটকে অভিনয় করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মঞ্চ, টেলিভিশন ও সিনেমা- এই তিন মাধ্যমেই তার সুনিপুণ অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে খুবই সাদামাটা জীবন যাত্রায় অভ্যস্ত মাসুম আজিজ। তার অভিনীত প্রতিটি চরিত্রে হারিয়ে যান ব্যক্তি চরিত্রের মানুষটি।
কেমন আছেন এই অভিনেতা? কি নিয়েই বা ব্যস্ত তিনি? বিনয়ের সুরে মাসুম আজিজ বলেন, ভালোই আছি। তবে ইদানীং অভিনয় পরিমণ্ডলে খুব একটা ব্যস্ততা নেই। আমি নিজেও কম করছি। মনের মতো না হলে সেই কাজে আগ্রহ পাই না। কথায় কথায় তিনি বলেন, এই প্রথম বাংলাদেশ বেতারে অতিথি প্রযোজক হয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন ‘জংধরা ত্রিশূল’ নাটকের। প্রথমবারের মতো নির্দেশনা দেয়ার অভিজ্ঞতাটা দারুণ। ১৯শে নভেম্বর বাংলাদেশ বেতারে প্রচার হবে নাটকটি। আমার নির্দেশনায় এতে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, রোকেয়া রফিক বেবী, আরমান পারভেজ মুরাদ, মনির খান শিমুল ও শাহেদ শরীফ খান। মামুনুর রশীদ কিংবা রোকেয়া রফিক বেবীর মতো গুণী অভিনয়শিল্পীরা কাজ করেছেন আমার নির্দেশনায়। বরাবরের মতো তারা অসাধারণ কাজ করেছেন। সিনেমায় কাজের কি অবস্থা? উত্তরে মাসুম আজিজ বলেন, সিনেমাাতেও মনের মতো হলেই কেবল কাজ করছি। এরমধ্যে অপূর্ব রানার পরিচালনায় ‘জলরঙ’ সিনেমায় অভিনয় করেছি। এরইমধ্যে সেন্সরে জমা হয়েছে সিনেমাটি। এটি সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে। সামনের পরিকল্পনা কি? উত্তরে এ অভিনেতা বলেন, এখন বয়স হয়েছে। পরিকল্পনা করে কিছু তেমন করা হয় না। অভিনয় করে মানুষের ভালোবাসা তো কম পাইনি। জীবনের বাকী সময়টায় যদি সুস্থ থাকি ও সময় সুযোগ হয় তবে ভালো মানের কিছু কাজ করতে চাই।
১৯৮৫ সালে প্রথম টিভি নাটকে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে পর্দায় কাজ শুরু করেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা মাসুম আজিজ। তিনি তার নিপুন অভিনয়ের জন্য অর্জন করেছেন ব্যাপক সফলতা এবং সম্মাননা। এমনকি পেয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার। সমগ্র দেশ জুড়ে রয়েছে এই জনপ্রিয় অভিনেতার অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী।