বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সাড়া জাগানো একজন অভিনেত্রী পরীমণি। রোববার (২৪ অক্টোবর) ছিল তার ৩০তম জন্মবার্ষিকী। বিনোদন জগতে পা রাখার পর থেকেই জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ দিনটি বেশ ঘটা করে পালন করতে দেখা যায় তাকে। আর সেই সুবাদে এবারও বেশ ধুমধাম করে প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে জন্মদিন পালন করলেন তিনি।
এছাড়া প্রতিবছর এতিমখানার শিশুদের সঙ্গেও একটি আয়োজন করে থাকেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে কেক কেটেছেন পরীমণি। কেকের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ও তাদেরকে উপহারও দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন পরী। সেখানে দেখা যায়, এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটছেন তিনি। সবার মাথায় বাহারি রঙের টুপি। লাল শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে লাল চুড়ি পরেছেন পরী। সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাথায় পরেছেন জন্মদিনের সাদা টুপি। লাল-সাদা রঙের পাঁচটি কেক কেটে শিশুদের মুখে তুলে দিচ্ছেন তিনি। কেক কাটার সময় হ্যাপি বার্থডে গানে পরীমণিকে শুভেচ্ছা জানায় শিশুরা।
সেই মুহূর্তের ভিডিওটি পোস্ট করে নিজেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরীমণি। ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘যেখানেই জীবন, সেখানেই ভালোবাসা।’
এবার কেবল আপন ও কাছের মানুষদের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন পরীমণি। অতিথিদের কাছে পাঠানো হয়েছে নিমন্ত্রণ কার্ড। সেই কার্ডেই রয়েছে একটি বিশেষ বার্তা। পরী লিখেছেন, ‘বিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আমার কাছে এসো এবং সারাজীবন আমার সঙ্গে ওড়ো’।
লাল ও সাদা রঙের কার্ডটিতে রয়েছে পরীর জন্মদিন পার্টির বিভিন্ন তথ্য। রোববার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে আয়োজন। পরী যে থিমে তার জন্মদিনের আয়োজন সাজান, সেই রঙের সঙ্গে মিল রেখে আমন্ত্রিত অতিথিদের ড্রেসকোড নির্ধারণ করেন। এবারও আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রবেশের জন্য রাখা হয়েছে পোশাক বিষয়ক শর্ত। পরীর পার্টিতে অংশ নেওয়ার জন্য ছেলেদের পরে যেতে হবে সাদা রঙের পোশাক, নারীদের পরতে হবে লাল রঙের পোশাক। তবেই গেট দিয়ে প্রবেশের সুযোগ মিলবে।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে সিনেমার শুটিং নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম গুণী এই অভিনেত্রী। তবে জন্মদিন উলপক্ষ্যে সেখান থেকে সাময়িক ছুটি নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর প্রিয়জনদের সঙ্গে ধুমধাম করে জন্মদিন পালন করেন পরীমনি।