দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে নির্বাচন কমিশনের নিকট। কারণ নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি বিষয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করবে কিনা, আর অন্যটি হলো ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ইভিএমে নির্বাচন হবে কিনা। এবার এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের প্রশ্নের জবাব দিলেন সিইসি।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অবিশ্বাস আছে কিনা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে।
বুধবার প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে গিয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ওই বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দল জানতে চায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অবিশ্বাস আছে কি না। জবাবে ইসি বলেছে, যে অবিশ্বাস ছিল তা অনেকাংশে কেটে গেছে। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে এই মেশিনে কতটি আসনে ভোট হবে সে বিষয়ে ইসি এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।
ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠক দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টা চলে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর ও মোঃ আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ডেনমার্ক, সুইডেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতসহ ১১ জন ছিলেন। বৈঠকের পর সিইসি এবং চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এর আগে গত জুলাইয়ে ইসির সঙ্গে বসেছিল ইইউ দল।
সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে সিইসি প্রতিনিধিদলকে বলেন, বর্তমান কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয় সংসদের দুটি উপনির্বাচন, দুটি সিটি করপোরেশন, ১৯টি পৌরসভা, ২১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ ও অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি তাদের বলেন, বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা।
ইইউ প্রতিনিধি দল ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে কোনো অবিশ্বাস আছে কি না তা জানতে চান। আমি তাদের বলেছি, ইভিএম নিয়ে অবিশ্বাস অনেকটাই কেটে গেছে। কিন্তু ইভিএমে কতটা (কত আসনে) নির্বাচন করা যাবে সে বিষয়ে আমরা কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।
বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়াদ এ বছরের শেষ দিকে শেষ হচ্ছে। এদিকে নির্বাচন কমিশন চলমান বছরের শেষ দিকে অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে অর্থাৎ জানুয়ারিতে নির্বাচন গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। তবে বেশ কয়েকটি বিষয়ে এখনো অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে আর সেটা হল সকল দলের অংশগ্রহণ ও ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠান।