সম্প্রতি আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনী র্যাবের বিরুদ্ধে বিচার বর্হিভূত হ/ত্যাকান্ডসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠে। পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনার সৃষ্টি হয়। র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয় নিয়ে দেশে ও দেশের বাহিরের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘে চিঠি পাঠায়। এ সবের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব সদস্যের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর মধ্যে বর্তমান পুলিশের আইজিপি মহাদয়ও আছেন। আইজিপি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন কিনা জানতে চেষ্টা করছে সরকার এ প্রসঙ্গে যা বললেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন কিনা, আগেই জানার চেষ্টা করছে সরকার।
তিনি বলেন, কোনো অসুবিধা না হলে আমরা আশা করি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, মানবাধিকার ইস্যুতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো ধরনের অপপ্রয়োগ থাকলে সেটি কমাতে চায় ঢাকা।
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ প্রধানদের তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইজিপি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. বিষয়, মু. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক নাসিয়ান ওয়াজেদ ও সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মাসুদ আলম।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩০ আগস্ট বা তার কাছাকাছি সময়ে তারা নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিনিধি দলটি ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবে।
তবে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ২০২১ সালের মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, বৈদেশিক কার্যক্রম ও এ সংক্রান্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক আইনের ৭০৩১ (গ) ধারা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যদিও জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী জাতিসংঘের সম্মেলন বা বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের ভিসা দেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা আছে।
তবে জাতিসংঘের বিভিন্ন অধিবেশনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ভিসা প্রত্যাখ্যান করার ঘটনাও ঘটেছে। সেই হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান মো. বেনজীর আহমেদকে ভিসা দিতে পারে, নাও দিতে পারে।
উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞার কারনে পুলিশ প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তার যাওয়া বিষয়টি ভিসা পাওয়ার উপর নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।