সাম্প্রতিক সময়ে এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া একটি আর্টিকেল সারা দেশে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ওই লিখিত আর্টিকেলে এক সংবাদ মাধ্যমের কর্মী সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ে তার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি দরিদ্র মানুষ ও বর্তমান সময়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন কথা লিপিবদ্ধ করেন। ওই আর্টিকেলে তিনি লেখেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং পাহাড়ের অসমতা সবচেয়ে অ/শ্লীল বলে মনে হয়।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি, ভোজ্যতেল নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজির চেয়ে অ/শ্লীল আর কিছু দেখছি না। আমি যখন দেখি একজন মহিলার ছবি টিসিবি ট্রাকের পিছন থেকে ঝুলছে যখন তার মেয়ের বিয়েতে একদল ভারতীয় তারকা অভিনয়শিল্পীর পাশে নাচছেন; তাখন নতুন করে অ/শ্লীলতার সংজ্ঞা শিখি।
সেখান থেকে শোয়ের কিছু অংশ ভাইরাল হয়ে যায়। আর তা নিয়েই মোড়লদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ভাইরাল অংশে এক দম্পতিকে নাচতে দেখা যায়। অভিনয়শিল্পীরা কেউই পেশাদার শিল্পী নন। তারপরও সেই ডুয়েট নাচের কোরিওগ্রাফি আমাকে মুগ্ধ করেছিল। উৎসবে আমি কোনো অ/শ্লীলতা পাইনি, অন্তত তাদের আনন্দে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অ/শ্লীলতা নিয়ে বিতর্কে ঝড় তুলেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী সানি লিওন। সে প্রথমে বাংলাদেশে ( Bangladesh ) আসতে চেয়েছিলেন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য। কিন্তু সরকার ( Government ) ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে সানি লিওনের ( Sunny Leone ) বাংলাদেশে ( Bangladesh ) আসা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট বাতিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে ( Bangladesh ) আসেন সানি লিওন। বিয়েতে যোগ দিতে বাংলাদেশে ( Bangladesh ) এসেছিলেন সানি লিওন।
তবে, তিনি একা নন। বিয়েতে মুম্বাই ( Mumbai ) ও কলকাতার বেশ কয়েকজন তারকা অভিনেতা, অভিনেত্রী ও গায়ক অংশ নিয়েছেন। তারা নাচ-গান উপভোগ করত। বিশেষ করে সানি লিওনের ( Sunny Leone ) নাচের অংশ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সানি লিওনের ( Sunny Leone ) বাংলাদেশে ( Bangladesh ) আসা নিয়ে অন্যদের মতো নৈতিকতার উত্তেজনা চরমে।
খবরের কাগজে সানি লিওনের ( Sunny Leone ) নাম শুনেছি। কিন্তু তার অভিনীত কোনো ছবি দেখিনি। আমি নিজেও জানি না সে কেমন আচরণ করে। মূলধারায় অভিনয় শুরু করার আগে সানি লিওন খারাপ ছবিতে অভিনয় করতেন। এটাই মোড়লদের আপত্তি। আমার একটা নিষ্পাপ কৌতূহল হলো যারা বাংলাদেশে ( Bangladesh ) সানি লিওন আসে তারা একটা হৈচৈ করছে; তারা তাকে কিভাবে চিনে?
তারা কি সানি লিওনের ছবি খারাপ ছবি দেখেছে? তারা নিশ্চয়ই সানি লিওনের ছবি বা নীল ছবি দেখেছেন। সানি লিওনের বাংলাদেশ সফর তরুণদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে বলে যারা উদ্বিগ্ন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, তরুণদের ধ্বং’/স করতে সানি লিওনকে বাংলাদেশে আসতে হবে না। পুরো পৃথিবী এখন একটি গ্রাম। সবকিছু এখন খোলা।
ইউটি’/উবে আপনি শত শত সানি লিওনকে পাবেন। সদর দরজা খোলা রেখে জানালা বন্ধ করার চেষ্টা অর্থহীন। সানি লিওনের বর্তমান বা অতীত ক্যারিয়ার নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রতিটি মানুষের যে কোনো পেশা বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। সে দেশে যে থাকে সে দেশের আইন অনুযায়ী যা ইচ্ছা তাই করার স্বাধীনতা রয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে সানি লিওন বাংলাদেশে এসে কোনো আইন ভঙ্গ করেছেন কিনা। তিনি বৈধ ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসেছেন। পারিবারিক বিয়েতে তিনি নাচলেন। তার নাচে অ/শ্লীল কিছু ছিল না।
খারাপ দৃষ্য আসলে নাচ, গান বা পোশাক পরিধান সম্পর্কে নয়; মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে। আপনার চিন্তায় খারাপ কিছু থাকলে, আপনি সবকিছুতেই ওইটা দেখতে পাবেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগল নাচ বা সানি লিওনের নাচ দেখেই যদি আপনার যুব সমাজ ধ্বং/স হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যুব সমাজের শিক্ষায় বড় ভুল আছে। আপনার সন্তানকে নৈতিকতা শেখান। সে জানো জানতে পারে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ। নিজেকে বাঁচানোর জন্য এটাই যথেষ্ট হবে। শিকড় কেটে মাথায় পানি ঢাললে গাছ বাঁচবে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগল নাচ বা বিয়ের অনুষ্ঠানে সানি লিওনের নাচ আমার কাছে অ/শ্লীল মনে হয় না। বাংলাদেশে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না, এটা আমার কাছে অ/শ্লীল মনে হয়। তদবির ছাড়া চাকরি বা পোস্টিং নেই, এটা আমার কাছে অ/শ্লীল মনে হয়। সমাজে দু/র্নীতি ও অসততা ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি কেনা আমার কাছে অ/শ্লীল মনে হয়।
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ যে অপ্রত্যাশিত উন্নতি করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অর্থনীতির সব সূচকেই বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল আমাদের নিয়ে যাচ্ছে এক নতুন যুগে। বাংলাদেশ এখন একটি উন্নয়নশীল দেশ।
তিনি আরও বলেন বাংলাশের মানুষের মাথাপিছু আয়ের বিষয়ে।দৈনিক ২৬০০ ডলারের মত। তবে সবাই সমান ভাবে এই টাকা উপার্জন করতে পারে না। অনেকে হাজার কোটি টাকা আয় করে আবার অনেকে এক হাজার কোটি টাকা আয় করে। তবে যারা হাজার কোটি টাকা আয়করে তাদের কাছে সম্প্রতিয় সময়ের চলমান খাদ্যদ্রবের দাম কোন ব্যপারই না। ১৭ ঘণ্টা সানি লিওনের সফর নিয়ে ভাবার সময় কই যারা টিপিবির ট্রাকের পিছনে ৫ ঘণ্টা ছুটে খালি হাতে বাসায় ফিরে আসে।