Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আমি ও রেহানা ছবিটি অনেকক্ষন ধরে দেখেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

আমি ও রেহানা ছবিটি অনেকক্ষন ধরে দেখেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

শিল্পী সমাজ বাংলাদেশের বেশ কিছু বিষয়ে বড় ধরনের অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সমাজের আর দশজনের তুলনায় শিল্পীদের সামাজিক দায়িত্ব বেশি, কারন শিল্পীরা তাদের সৃষ্টকর্মের মাধ্যমে সাধারনকে প্রভাবান্বিত করার মতো ক্ষমতা রেখে থাকেন। এমনকি সমাজের বিভিন্ন সচেতনতা ও মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম। যেহেতু একজন শিল্পী তার নিজস্ব ভৈাগলিক পরিবেশের লালিত সংস্কৃতির একনিষ্ঠ কর্মী, তাই তিনি সবসময় সাহায্য করে থাকেন দেশবাসীদেরকে তাদের গৌরবোজ্জল ঐতিহ্যের দিকে মুখ ফেরাতে। বাংলাদেশের প্রতি এই শিল্পী সমাজের বরাবর কেমন ভুমিকা ছিল সে ব্যাপারে স্মরণ করে প্রধান মন্ত্রী তার বক্তব্যের মাঝে তাদের প্রশংসনীয় অবদানের কথা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সংগ্রাম ও অর্জনে দেশের শিল্পী সমাজের অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান হাতে লেখা এবং এর প্রথম নকশা করেছিলেন দেশের শিল্পীরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশের ১৫০ ফুট দীর্ঘ (দেশের বৃহত্তম) চিত্রকর্ম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’-এর প্রশংসা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, শিল্পী বিকাশ স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে সবকিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন পেইন্টিং মাধ্যমে।

আমি আর আমার ছোট বোন রেহানা সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। আমরা অনেকক্ষন ধরে দেখেছিলাম। কারণ একজন শিল্পী কীভাবে এমন ছবি আঁকতে পারেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা না থাকলে, আত্মবিশ্বাস না থাকলে এমন চিত্র আঁকা কখনোই সম্ভব নয়। এটি শিল্পের একটি অসাধারণ কাজ। শেখ হাসিনা বলেন, ঘা’তকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝ থেকে ছি’নিয়ে নিয়ে গেছে। তাই এ জাতির জীবন থেকে হারিয়ে গেছে ২১ বছর। আর এই ২১ বছরে জাতির পিতার নাম না থাকার চেষ্টা করা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলার… ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসই হোক আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসই হোক।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর যারা স্বাধীনতা বিরোধী, তারা তাকে সবকিছু থেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু শিল্পী সমাজ তাদের বিভিন্ন মাধমে বঙ্গবন্ধুর সৃতি সবার স্মরনে রেখেছে এজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কারণ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি থেকে শুরু করে সবাই প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কাজ শুরু করেছে। আমরা রাজনৈতিকভাবেও চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশের প্রতিটি অর্জন ও সংগ্রামে শিল্পীদের অবদান অনেক।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু এদেশের মাটি থেকে উঠে আসা একজন নেতা। মাটির পাত্র দিয়ে তার আঁকা ছবিও আঁকা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান হাতে লেখা এবং এর প্রথম নকশা করেছেন দেশের শিল্পীরা। তিনি বলেন, এটি এমনভাবে প্রদর্শন করা উচিত যাতে সব মানুষ তা দেখতে পায়। শুধু বিমানবন্দরে নয়, টুঙ্গিপাড়ায়ও প্রদর্শনী হবে, এমন জায়গায় করার চেষ্টা করছি… যারা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি দেখতে যাবেন তারাও এই চিত্রকর্মটি দেখবেন। তার জন্য একটি জায়গা তৈরি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ যাতে অনলাইনে এই চিত্রকর্ম দেখতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করব। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, আমরা সেখানে স্থাপন করব। আমরা এই চিত্রকর্মটি সারা বাংলাদেশে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করব। একই সঙ্গে যারা প্রবাসে আছেন তাদের দেখানোর ব্যবস্থা করব। এটা করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আমরা এটা করতে পারি। এ সময় দেশের শিল্পীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ঘোষণা দেন সরকারপ্রধান।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ১৫০ ফুট দীর্ঘ (দেশের বৃহত্তম) শিল্পী শাহজাহানের দৃষ্টিনন্দন সৃষ্টির প্রসংশা করেন করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহনা। তার এই বিষ্ময়কর সৃষ্টির প্রসংশা করার পাশাপাশি এই নন্দনিক চিত্রকর্ম দেশের সকল স্থানে স্থাপনের আশা ব্যাক্ত করেন। তিনি এই চিত্রকর্মের প্রশংসা করতে গিয়ে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসা না থাকলে এমন চিত্র কখনোই সম্ভব নয়।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *