নির্বাচন কমিশনের কমিটি কিভাবে হবে, এটা নিয়ে জনগণের জানার কৌতূহলের শেষ ছিল না। রাস্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর, ৩২২ জনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন গঠিত সার্চ কমিটি এবং এরপর ঐ তালিকা মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের নিকট জমা দেন। সবকিছু বিবেচনা করে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করলেন চূড়ান্ত কমিটি। কমিটি নিয়ে জনগণ অনেকটা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিলেন।
অবশেষে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়েছে শনিবার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামী পাঁচ বছরের জন্য তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সচিব ছিলেন। সেখান থেকে ২০১৭ সালে অবসরে যান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে কাজী হাবিবুল আউয়াল সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর থেকে হাবিবুল আউয়াল একজন সৎ ও দক্ষ আমলা হিসেবে সুপরিচিত।
বিসিএসের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে সংসদ সচিবালয়ে ধর্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনার গঠনে গঠিত তদন্ত কমিটি ১০ প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে। পরে তদন্ত কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে নামের তালিকা হস্তান্তর করে। সেই তালিকা থেকেই নির্বাচন কমিশনারদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
এখনো জানা যায়নি হাবিবুল আউয়াল এর সঙ্গে ইসি আর কাদের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। বর্তমান সময় পর্যন্ত, দেশে ১২ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ২৭ জন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি জানান, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করা হবে, যেটা অনুসন্ধান কমিটির জন্য ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কমিটি বিষয়টি খুব দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে শেষ করেছেন।