বাংলাদেশে গত বেশ কিছুদিন ধরে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে সব সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাসাবে সাবেক আইন সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম ঘোষনা করলেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। সার্চ কমিটি ৩২২ জনের নামের তালিকা থেকে যাচাই বাছাইয়ের পর ১০ জনের নামের তালিকা দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
এই প্রথম বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার গঠনের ক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেওয়া তালিকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক আইন সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের জারি করা প্রজ্ঞাপনের প্রতিক্রিয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাবেক আইন সচিবকে নিয়োগ দিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করেছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এখন সব বিরোধী দলকে বলব সিইসিকে মেনে নিতে। তিনি (নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল) খারাপ করবেন না।
উল্লেখ্য, গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে খুশি হয়ে বলেন, এখন তিনি বিরোধী দলসহ অন্য দলগুলোকে বললেন, মন্ত্রীপরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আশা করা যায় কাজি হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সততার সাথে তার নিজ দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করবেন।