বর্তমানের নির্বাচন কমিশন (ইসি) মুলত একটা ভোট চুরির সহযোগী সংগঠন। ইসিকে নিয়ে বলার মত কিছু নেই, ইসির গঠন নিয়ে কোন অভিযোগও নেই তবে এটি হচ্ছে এক প্রকার ভোট চুরি করার মাধ্যম। আর ভোট চুরির মাধ্যমের একটি অন্যতম সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে এই ইসি। তাই সবার আগে আমাদের আসল চোরকে খুজে বের করতে হবে, এমটাই মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে বলার কিছু নেই। কারণ ইসি গঠন মূল সমস্যা নয়। এটা ভোট চুরির প্রক্রিয়া। ইসি ভোট চোরদের সহযোগী। তাই আসল চোরকে ধরতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ইসি গঠনের তামাশা ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বাস্তবতা নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কিন্তু সরকারের অর্থমন্ত্রী বলছেন- ‘দেশে টাকা রাখার জায়গা নেই।’ এরপরও উন্নয়নের নামে মেগা চুরির প্রতিযোগিতা চলছে। তারা দেশের জনগণের টাকা লুটপাট করছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলের মাধ্যমে সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনগণের সব টাকা লুটপাট করছে। টিসিবির পণ্য কিনতে ট্রাকের পেছনে ছুটতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের উন্নয়নের উদাহরণ। তহবিল নষ্ট হয়েছে। এবার দেশকে বাঁচাতে সবাইকে একসঙ্গে চোর ধরতে হবে। বিএনপি ইতোমধ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এবার চোর ও তাদের অবশিষ্টাংশ একদিকে যাবে আর যারা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী তারা অন্য দিকে যাবে।
উল্লেখ্য, একদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলছেন, দেশে কোন টাকা নেই,প্রযুক্তি নেই অপরদিকে অর্থমন্ত্রী বলছেন টাকা রাখার জায়গা নেই। এর পরেও দেশের উন্নয়নকে ঘিরে চলছে মেগা চুরির প্রতিযোগিতা। দেশের সকল ভোগ্য পন্যের উর্ধ্বগতির পেছনে সম্পুর্ন ভাবে এই সরকার জড়িত, তাই দেশেকে বর্তমানের এই দুর্নীতিশীল প্রেক্ষাপটের হাত থেকে সবাই মিলে রক্ষা করতে হবে, এমনটিই মন্তব্য করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।