বাংলাদেশ একটি ঘন বসতি পূর্ণ দেশ। দেশের আয়তন অনুযায়ী জনগণের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশের রাজধানী ঢাকা যেখানে সারাদেশ এবং বিদেশের মানুষের সমাগম তাই যানবাহনের পরিমাণ ও বেশি। ঢাকায় যানজট নিয়ে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি সবারমধ্যে। এবং এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন স্থানে ফ্লাই ওভার ও তৈরি করা হয়েছে। তবে গতকাল অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে যানজট নিয়ে একটি রেকর্ড গড়ে ওঠার মতো ঘটনা ঘটে যেটা এর আগে তেমন দেখা যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে সেতুর পূর্ব পাশে গোলচত্বর থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মহাসড়কে দুর্ঘটনা, ওজন স্টেশনে ত্রুটি ও যানজট বেড়ে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এতে মহাসড়কের গোড়াই, মির্জাপুর, জামুর্কী ও করটিয়া এলাকায় যানবাহন চলাচলে ধীরগতি রয়েছে। তবে শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার পর থেকে এই সময়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং দুপুর ১২টার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে কালিহাতী উপজেলার ভূনাপুর লিংক রোডের কাছে মহাসড়কে অপর একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফলে মহাসড়কের ঢাকাগামী ও উত্তরবঙ্গগামী লেনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি সরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে যানজটের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ওজন স্টেশনে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের কারণে শুক্রবার সকালে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হারুন অর রশিদ জানান, শুক্রবার সকালে ডিউটিতে আসার পরপরই যানজট লক্ষ্য করা যায়। তবে কী কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, বাসের লেনে ট্রাক ঢুকে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় ১৪-১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। শুক্র ও শনিবার রাতের এই সময়ে ট্রাফিক হালকা ছিল। টাঙ্গাইলের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের যানবাহন এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বর পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়কে ঢুকে যানজটের সৃষ্টি করছে। শুক্রবার সেই জট দীর্ঘ হয়ে রসুলপুরে পৌঁছায়। ঈদসহ যেকোনো উৎসবের ছুটিতে মহাসড়কে যানজটের মাত্রা বেড়ে যায়।
মহাসড়কে ১৯ কিমি যানজট নিয়ে হয়রানির স্বীকার হয় যানবাহন চালকেরা। বিভিন্ন কাঁচা-বাজারের মালবাহী যানবাহন চালকেরা বিপাকে পড়েন। তাদের দাবি এি ধরনের যানজটের কারণে তারা সময় মত খাদ্য দ্রব্য নিদিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে পারে না এবং কিছু কিছু সময় কাঁচা-ফল, সবজি ইত্যাদি পচে নষ্ট হয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রহস্থ হয় এসব পন্য দ্রব্যের পাইকারী ব্যবসায়ীরা।