দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা যখন দুর্নীতি করে তখন দেশের অবস্থা কি হতে পারে? সেটা অনেকের নিকট স্পষ্ট। দেশের সব জায়গাতেই ব্যাপকভাবে দুর্নীতি চলছে। যারা ক্ষমতায় থাকে, তারাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে, আমাদের দেশেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না, প্রায় সকল খাতে চলামন রয়েছে দুর্নীতি। দুর্নীতি দমনে প্রয়োজন শক্ত অবকাঠামোগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা। দুর্নীতি এখন সবার নিকট এখন অনেকটা একট্টা হয়ে গেছে। দুর্নীতির কারণে দেশের অবস্থা আজ শোচনীয়। সাম্প্রতিক সময়ে দুজন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা দূর্নীতির দায়ে বিচারের অধীনে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের রায় পড়ে শোনানো হয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় পড়া শুরু করেন। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার সূত্র ধরে, ২০১৯ সালের ২৪ জুন মিজানুরের বিরুদ্ধে সম্পদ গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক বাছির। মামলার তদন্তকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দুদক কর্মকর্তার উপর যখন দুর্নীতির দায় তখন দেশের কি হবে ভবিষ্যতে তা ভেবে শিউরে উঠতে হয়। দুর্নীতি দমন করতে সমাজের শিকড়ে হাত দিতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দুনীতি থেকে দূরে রাখতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে। ছাত্র সমাজকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিতে হবে। শিশু কিশোরদের দুর্নীতির কুফল সম্পর্কিত জ্ঞান দিতে হবে।