সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার তিনি কিছুটা বেসামাল মন্তব্য করতে শুরু করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে, যার মধ্যে অন্যতম হলো টুইটার। সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো তার নানা মন্তব্যের কারনে তার অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেয়। অবশেষে তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজের মতো করে বিকল্প সোশ্যাল অ্যাপ তৈরী করার এবং তাই তিনি করিয়ে নেন। খুলে ফেলেন নতুন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি।
তার নতুন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ লঞ্চের মাধ্যমে নতুন নজির তৈরি হয়েছে। সোমবার লঞ্চ হওয়ার পর অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে অ্যাপটি সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে। তবে নজির স্থাপনের পাশাপাশি নতুন অ্যাপটিও প্রথম দিনেই সমস্যা তৈরি করেছে। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে অনেক ব্যবহারকারী এখানে তাদের নাম নিবন্ধন করতে সমস্যায় পড়েছেন।
অনেকে ওয়েটিং লিস্টে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বার্তাও পেয়েছেন। সেখানে তাদের বলা হয় অতিরিক্ত চাহিদার কারণে সমস্যা হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে ঘোষণা করা হয়েছিল ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ বাজারে আসছে। ১৫ফেব্রুয়ারি, ট্রাম্পের বড় ছেলে, ডোনাল্ড জুনিয়র, টুইটারে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছিলেন। ট্রাম্পের ঘোষণা সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। এতে লেখা ছিল, “ব্রেকিং: ট্রুথ সোশ্যালে এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম পোস্ট।” ট্রাম্পের ঘোষণা, প্রস্তুত থাকুন। আমি শীঘ্রই আপনার প্রিয় রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করব।
‘তখন থেকেই শুরু হয় জল্পনা। অবশেষে সোমবার আত্মপ্রকাশ করল ‘ট্রুথ সোশ্যাল’। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া আউটলেট ঘৃণ্য মন্তব্য এবং সহিংসতা ছড়ানোর জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করেছে। বারবার অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। এরপর ফেসবুক ও টুইটারের মতো শীর্ষ সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া আনার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। এখন দেখা যাক তিনি কতটা করতে পারেন।
২০২১ সালে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়ার পর, তিনি অনেকটা মন ক্ষুন্ন হন। অবশেষে ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাপস ছাড়লেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যে মানুষের মনে এই অ্যাপস অনেকখানি জায়গা করে নিয়েছে, তার প্রমাণ হিসেবে অনেকে এটি ইতিমধ্যে ডাউনলোড করতে শুরু করেছেন।