বাংলাদেশের ও কোলকাতার স্বনামধন্য চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌসের উপর ভারতে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। অভিনেতা ফেরদৌস দুই বাংলায় সমান ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশে ও কলকাতায় বেশ কিছু ছবিতে ফেরদৌসকে দেখা যায় অভিনয় করতে।
ফেরদৌস আহমেদ ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িয়ে পড়ার পর এই অভিনেতা বিপাকে পড়েন।
ভারত সরকার তার দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। ফলে অন্য কোনো কারণে গত তিন বছর ধরে ভারতে যেতে পারছেন না তিনি। বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে সড়কপথে যাতায়াত করলেও প্রথমবারের মতো নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবেন ফেরদৌস।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অপেক্ষায়। অবশেষে গত বছরের ৬ নভেম্বর ভারত সরকার দেশে তার প্রবেশাধিকার ফিরিয়ে দেয়। তাই ফেরদৌসের ভারতে যেতে এখন আর কোনো বাধা নেই। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর আগামীকাল প্রথমবারের মতো ভারত পাড়ি দিতে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। প্রথমবারের মতো নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবেন এই অভিনেতা। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আগরতলায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেবেন তিনি। উৎসবে ফেরদৌসের সঙ্গে থাকবেন গায়িকা মমতাজ ও অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসও। ফেরদৌস বলেন, &#৩৯;অনেক দিন পর দ্বিতীয় বাড়িতে যেতে পেরে ভালো লাগছে। অনেক কাজ চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এবার কলকাতায় যেতে পারব না। মোট পাঁচদিন থাকার প্ল্যান করেছি। আপনাকে আগরতলা, গুয়াহাটি, শিলং এবং আশেপাশের আরও কিছু জায়গায় যেতে হবে। আমাদের সঙ্গে থাকবেন মন্ত্রীসহ সরকারি কর্মকর্তারা। আপনি তাদের ছাড়া কাজে যেতে পারবেন না।
তিন বছর ভারতে যেতে না পারায় প্রচণ্ড ব্যথায় ফেরদৌস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাজের ক্ষেত্র বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই। এমন হয়েছে যে অনেক নির্মাতা আমাকে ফোন করেছেন এবং যেকোনো উপায়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। কারণ তাদের বেছে নেওয়া গল্পের মূল চরিত্রগুলো আমাকে ছাড়া ভাবতে পারে না। তখন খুব কষ্ট হতো। অবশেষে ব্যথা উপশম হয়েছে। আশা করছি, এ বছর বেশ কয়েকটি ভারতীয় ছবিতে কাজ করতে পারব।
ভারতে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে ফেরদৌস অনেক আনন্দিত। নিষেধাজ্ঞা থাকায় টালিউড ক্যরিয়ার এর অনেক ক্ষতি হয়েছে বলেন তিনি। আবারও কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পারবেন ভেবে অনেক ভাল লাগছে, বলেন অভিনেতা ফেরদৌস।