Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / প্রয়াত ব্যাক্তিকে পিষ্ট করে চলে গেল ইউএনওর গাড়ি, চালকের ভিন্ন দাবি

প্রয়াত ব্যাক্তিকে পিষ্ট করে চলে গেল ইউএনওর গাড়ি, চালকের ভিন্ন দাবি

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলাধীন একটি এলাকায় উজির মিয়া নামের একজন ব্যাক্তিকে চুরির মামলার পর আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। আটককৃত ব্যাক্তি ১১ দিন পর জমিনে মুক্তি পেয়ে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রান হারান। উজির মিয়ার এই অবস্থার জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। এলাকাবাসীর ধারনা প্রশাসনের নি/র্যাতনের জন্য ঐ ব্যাক্তি প্রান হারিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী লাশকে ঘিড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সুনামগঞ্জে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ী একটি লাশকে মাড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেল এমনই একটা অভিযোগ তুলে ধরেন অভিযুক্তরা। গাড়িতে বসে ছিলেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার, তবে গাড়িটি উপজেলার সহকারী কমিশনারের। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জের সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পাগলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গাড়ির চালক দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করে গাড়িটি নিয়ে শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায়। সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় চুরির মামলায় গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্তি পাওয়ার ১১ দিন পর উজির মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর তার স্বজনদের অভিযোগ, তাকে হেফাজতে রেখে পুলিশি নির্যাতন করা হয়েছে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।

দুপুর ২টার দিকে পাগলা বাজার এলাকায় উজির মিয়ার মরদেহ নিয়ে অবস্থান নেয় স্বজন ও এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, শান্তিগঞ্জ থানার তিন এসআই থানার হেফাজতে উজিরকে নির্যাতন করা হয়। জনতা গাড়িটিকে এগিয়ে যেতে বাধা দিলে চালক না থামিয়ে উজির মিয়ার লাশ পিষ্ট করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় জনতা সড়কে নেমে এলে তাদের ওপর গাড়ি চলতে থাকে। তবে এ সময় তারা কোনো বাধা ছাড়াই রাস্তা ছেড়ে দেন। অপর প্রত্যক্ষদর্শী উজির মিয়ার চাচা মখলেছুর রহমান জানান, লাশ সড়কে রাখা ছিল।

ইউএনও সাহেব নিচে এসে আমাদের কথা শুনতে পারতেন,সেটা না করে তিনি লাশটির উপর দিয়ে গাড়ীটি চালিয়ে গেলেন। এমন ইউএনও আমরা চাই না। জানতে চাইলে ইউএনও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এই অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা। উত্তেজিত জনতা আমার গাড়িতে হামলা করে এবং উইন্ডশিল্ডে আঘাত করে। এ সময় চালক লাশের পাশ দিয়ে চলে যায়। যারা এসব অভিযোগ করছে তারা মিথ্যাচার করছে। সেখানে সেরকম কিছু ঘটেনি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার উল হালিম দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের দায় নিতে হবে। এর দায় প্রশাসন নেবে না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, শরীরের ওপর দিয়ে গাড়ি চালানোর ব্যাপারটা হয়তো ভুল হয়েছে। এমনটি হওয়ার কথা নয়।

উজির মিয়ার মরদেহকে নিয়ে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার নামক একটি স্থানে ঐ ব্যাক্তির স্বজন এবং এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই বিক্ষোভের সময় একটি সরকারী কর্মকর্তাকে বহনকৃত গাড়ী ঐ মৃত ব্যাক্তির উপর দিয়ে গাড়ী চাপা দিয়ে চলে যায়, এমনটিই অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযুক্তরা বলেন, আলোচিত গাড়ীটি উপজেলার ইউএনও সাহেবের।

ইউএনও মো: আনোয়ার উজ জামান এই ঘটনাটি সম্পুর্ন মিথ্যা এমনটী স্বীকারুক্তি মুলক মন্ত্যব্য করে বলেন, মৃতব্যাক্তির উপর কোন গাড়ী চাপা দেওয়া হয়নি বরং বিক্ষোভকারীরা আমার গাড়ীর উপর হামলা করলে এবং গাড়ীর গ্লাসের উপর আঘাত করলে আমার চালক এই পরিস্থিতিকে এরানোর জন্য মৃতব্যাক্তির পাশ থেকে গাড়ী চালিয়ে চলে আসেন।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *