গত বেশ কিছুদিন যাবৎ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে নানা আলোচিত ও সমালোচিত হয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সারা দেশের রাজনৈতিক কার্যক্রম। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা মতভেদ। অবশেষে সব প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সমস্যার সুরাহা করে বিষয়টি নিয়ে ইতি টানার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ইসি গঠন নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলবে সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চূড়ান্ত ১০ জনের তালিকা জমা দেবে কিনা জানতে চাইলে সার্চ কমিটির প্রধান ও আপিল বিভাগের বিচারক ওবায়দুল হাসান বলেন, আমরা চাইলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে পারি না। এই জন্য দুটি কারণ আছে।’
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ থেকে মুক্ত হওয়া এবং অন্যটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া। মন্ত্রিপরিষদ সচিব দেখা করার চেষ্টা করছেন।
সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, নতুন আইনে সার্চ কমিটি গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত আমরা নিজেদের মধ্যে ছয়টি বৈঠক করেছি। আর একটা মিটিং বাকি আছে। আপাতত আমরা ২২শে ফেব্রুয়ারি সপ্তম সভা করে আমাদের কাজ শেষ করতে পারব। এছাড়া সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে চারটি বৈঠক করেছি।
তিনি যোগ করেন, প্রথমে ৩২২ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই নাম ঘোষণার পর আমরা চারজন বিশিষ্ট সাংবাদিককে ডেকেছিলাম যারা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী ছিলেন। তারাও কিছু নাম দিয়ে গিয়েছেন। আমরা জমা দেওয়ার সময় একদিন বাড়িয়েছি। তারপরও আমি বলেছিলাম, কেউ যদি বিশেষভাবে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নাম রাখেন, আমি সেই নামগুলোও বিবেচনা করব। কিছু রাজনৈতিক সংগঠন সময় বাড়িয়ে নাম পাঠিয়েছে। সব নাম বিবেচনা করে গত পঞ্চম বৈঠকে ২০ জনের নাম নির্বাচন করা হয়। আমি সেখান থেকে ১২-১৩ জনের তালিকা করেছি।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো: সোহরাব হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার সোহেল হোসেন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. আনোয়ারা সৈয়দ হক।
অবশেষে সপ্তম মিটিং এরপর সব মতভেদের ইতি টানতে পারবে বলে আশা ব্যক্ত করছেন সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি আরও বলেন এবার সারাদেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে থেকেও নির্বাচন কমিশনের তালিকায় নাম এসেছে, যা আগে হয়নি। অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি হয় সেটা দেখার প্রত্যাশা জানিয়েছেন দেশের জনসাধারণ।