জীবিকার তাগিদে পরিবার-পরিজনের মায়া ত্যাগ করে সূদুর দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ছোট-খাট একটি ব্যবসা শুরু করেন নোয়াখালী সাইয়েদ আল ফয়সাল (Syed Al Faisal)। আর এই ব্যবসার সূত্রে ধরে সেখানকার এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ফয়সালের (Expatriation)। দীর্ঘদিন এভাবে যাওয়ার পর ঐ নারীর পরিবারের সম্মতি নিয়ে তাকে বিয়েই করেন ফয়সাল। দাম্পত্য জীবনে দুইটি কন্যা সন্তানের অভিভাবকও হন তিনি। আর এভাবে অনেকদিন যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা বাংলাদেশ আসেন তিনি। এরপর থেকেই কোনো খবর নেই ফয়সালের।
তার স্ত্রী পেসিটলে (pacitale) ফয়সাল দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) পুমালাঙ্গা প্রদেশের কেওয়াথান দেগায় স্থানীয় জুলু সম্প্রদায়ের বাসিন্দা। তিনি তার দুই স্কুলগামী মেয়েকে নিয়ে তার বাংলাদেশি স্বামীকে খুঁজছেন।
পেসিটলের দুই মেয়ে ফাহিম ফয়সাল (১২) ও ফারহানা ফয়সাল (৯)। তারা তাদের বাবা ফয়সালের খোঁজে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির (Bangladeshi community) কাছে বারবার প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
২০০৯ সালের হাতে লেখা পাসপোর্ট অনুযায়ী, ফয়সাল ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পেশা ব্যবসা। তার পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা রোকেয়া বেগম।
দুই মেয়েকে নিয়ে পেসিটলে ফয়সাল এ প্রতিবেদককে জানান, তার স্বামী সৈয়দ আল ফয়সাল একটি দোকান চালাতেন। তিনি ফয়সালের দোকানে নিয়মিত গ্রাহক ছিলেন। তারা ২০০৫ সালে প্রেমে পড়েন। ফয়সালের দাবির পর, তিনি খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। ফয়সাল পেসিটলের নাম পরিবর্তব করে একটি নতুন নাম দেন। তারা ২০০৯ সালে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। তাদের বড় মেয়ে ফাহিমা ফয়সাল ২০১০ সালে জন্মগ্রহণ করে। তারপর সবচেয়ে ছোট মেয়ে ফারহানা ফয়সাল। সন্তানদের নিয়ে সুখেই চলছিল তাদের সংসার। ২০১৮ সালে, ফয়সাল হঠাৎ করেই বাংলাদেশে তার পরিবারের সাথে দেখা করতে চলে যায়। এরপর থেকে তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
এদিকে স্বামীর সন্ধান পেতে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে চলেছেন ঐ নারী। কিন্তু কোনতেই কিছু হচ্ছে না, স্বামীর কোনো খোঁজ না পেয়ে রীতিমতো হতাশা-গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। অন্যদিকে দুই মেয়েকে নিয়েও বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন পেসিটলে ফয়সাল।