বাংলা রুপালী জগতের এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভনেত্রী বেবী হেলেন। তবে পর্দায় ‘সুচরিতা’ নামেই অধিক পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। অভিনয় কর্মজীবনে একাধিক ব্যবসায় সফল সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি ভক্তের মন জয় করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে বেশকিছু বছর হলো অভিনয় জগত থেকে নিজেকে অনেকটা আড়াল করে নিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাংলা সিনেমায় দীর্ঘ পথচলায় সোনালী যুগের এই নায়িকা সময়ের ব্যবধানে আসন্ন শিল্পী সমিতি নির্বাচনে মিশা-জায়েদ (Misha – Zayed) পরিষদে কার্যকরী পরিষদে সদস্য হিসেবে নির্বাচন করছেন।
কেমন আছেন এই চির সবুজ নায়িকা? সুচরিতা (Shochorita) বলেন, ভালো আছি। সুস্থ আছি।
আপনার সুপারহিট সিনেমা ‘আঁখি মিলন’-এর সফল জুটি কি ইলিয়াস কাঞ্চনকে ছেড়ে জায়েদ-মিশাকে প্যানেলে বেছে নিচ্ছেন? কারণ কি? নায়িকা বলেন, পর্দা জুটি আর বাস্তব জীবনের গল্প এক নয়। অবশ্যই কাঞ্চন আমার সম্মান পাওয়ার যোগ্য। অনেক মানুষ। কাঞ্চন ভাই যেমন পর্দায় একজন সফল নায়ক, তেমনি জায়েদও একজন সফল সংগঠক। জায়েদ-মিশা অতীতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিল্পীদের প্রতি যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
কাঞ্চনের বিপরীতে, সমসাময়িক নায়িকারা যারা রূপালি পর্দা ধরে রাখতেন তারা তাদের পুরোনো সহকর্মীদের প্যানেলে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে অন্য প্যানেল থেকে বেছে নিচ্ছেন।
এর রহস্য কী? এ প্রসঙ্গে সুচরিতা বলেন, আমরা পর্দার সুপার হিরো নই, আসলে আমরা মিশা-জায়েদের পক্ষে যারা বিশ্ব মহামারীর সময়ে শিল্পীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই মিশা-জায়েদের পক্ষে আছি।। পর্দায় জায়েদের সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেতো নবীন একজন শিল্পী। তাকে যেতে হবে দীর্ঘ পথ।
আমাদের বাঙালিদের বিরাট একটা সমস্যা আছে। আমরা কারও সাফল্য সহজে মানতে পারি না। নিজেরা কিছু করবো না সমাজের জন্য, কেউ করলে তার পা টেনে ধরবো।
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে ‘বাবুল’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন সুচরিতা। এরপর প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে তার বড় পর্দায় আগমন ঘটে ১৯৭২ সালে ‘স্বীকৃতি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্য রয়েছে- যাদুর বাঁশী’, ‘বলো না তুমি আমার’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘বনবাসে বেদের মেয়ে জোসনা’, ইত্যাদি।