সম্প্রতি র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা তর্ক বিতর্ক। জাতিসংঘের কাছ থেকে এমন চিঠি তবে কি এবার শান্তি রক্ষার যে মিশন বাংলাদেশ করছে সেটাই বাধার সৃষ্টি করে দিবে! এমন প্রশ্ন দাগ কেটেছিল মানুষের মনে মনে। এবার সেই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, শান্তি মিশনে অংশ না নেওয়ার জন্য যে ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, জাতিসংঘ যখন শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য কোনো দেশ থেকে সদস্য নিয়োগ করে, তখন তারা খুবই নির্বাচনী হয়। শান্তি মিশনে অংশ না নেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে যে ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা চিঠি দিয়েছে তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু লোক দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশের প্রতি তাদের কোনো সহানুভূতি নেই। তবে দেশবিরোধী অপপ্রচার করে কোনো লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডাঃ মোমেন বলেন, র্যাব সদস্যদের যদি কোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়, আমি যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করব তাদের প্রশিক্ষণের জন্য।
এর আগে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দিতে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা চিঠি দিয়েছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ ১২টি মানবাধিকার গোষ্ঠী জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সকে চিঠি লিখেছে।
যদিও আব্দুল মোমেন এর মতে র্যাবের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে, শান্তি মিশনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে এখানে রয়ে গেছে প্রশ্ন যেখানে মিশন শান্তির মিশন সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ দেশের প্রশাসনের বিরুদ্ধে, তাহলে কি এতটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় সেটা শান্তি মিশন এর উপর প্রভাব ফেলবে না! এখন দেখার বিষয় পরবর্তীতে এটা কোন দিকে যায়, আদৌ শান্তি মিশনে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিষেধাজ্ঞা র্যাবের পর এসেছে সেটা মনে হয় না উঠানো হবে, পরিসংখ্যান তো সেটাই বলে।