হঠাৎ করেই বাংলাদেশের ক্ষমতাধর এবং বহুল জনপ্রিয় রাজনৈতিক দুই দল আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি একে অন্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে তর্ক-বির্তকে মেতে উঠেছে। এমনকি বিষয়টি জাতীয় সংসদেও উঠেছে। এরই সূত্র ধরে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বিবৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে সংসদে বিতর্কে অংশ নেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা। দুই দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা জানতে চেয়েছেন আসলে কারা লবিস্টকে নিয়োগ দিয়েছে। যদি তাই হয়, একটি দল কত টাকা খরচ করেছে? কোথা থেকে এই টাকা খরচ হয়েছে- এসব বিষয় খতিয়ে দেখা উচিত। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য উপস্থাপনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দাবি করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করে ৩২ কোটি টাকা পাচার করেছে। এদিকে, বিএনপি দাবি করেছে, সরকার ২০১৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করে বছরে ৩০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যয় করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সংসদে বলেছেন, তিনি আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন।
গতকাল রোববার ২৩ জানুয়ারি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডার ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে তারা এ কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, “জাতির সামনে জল্পনা-কল্পনামূলক বক্তব্য উপস্থাপন করা ঠিক নয়। বক্তব্য সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। শান্তিরক্ষা মিশনে র্যাবকে অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য জাতিসংঘে ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা নোটিশ দিয়েছে। এর অবস্থা কি?যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার অবস্থা কী?আশা করি আগামীকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিষদে বক্তব্য দেবেন।জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। সংসদে বলেন, বিএনপি গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছে। লবিস্টের পেছনে ৩২ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু কী কারণে তারা এই লবিস্ট নিয়োগ করেছে? জনগণের স্বার্থে নাকি স্বার্থে? রাষ্ট্র?নাকি জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে?এটা পরিষ্কার হয়নি।
বেশ কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ৭ প্রশাসন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে দেশ জুড়ে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এরই সূত্র ধরে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে চলছে তর্ক-বির্তক।