বাংলা রুপালী জগতের ষাটের দশকে অন্যতম সাড়া জাগানো অভিনেত্রী আনোয়ারা জামাল। প্রথমত নৃত্যশিল্পী হিসেবে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতা এক পর্যায়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেই কোটি ভক্তের মন জয় করে নেন তিনি। বাংলা সিনেমার পাশাপাশি উর্দু সিনেমায়ও অভিনয় করে পেয়েছেন দা্রুন সফলতা। তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিনেমাটি।
গোলাপি এখন ট্রেনে, দেবদাস, শুভদা সিনেমা অভিনয় করে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। পরে পর্দায় ‘মা’ চরিত্রে অভিনয় করে জয় করেছেন অসংখ্য দর্শকের হৃদয়।
কিছুদিন আগে স্বামীকে হারিয়েছেন আনোয়ারা। এখন বাড়িতেই সময় কাটে তার। আনোয়ারা মনে করেন, নায়িকা হিসেবে আলাদা কিছু করার নেই। তার কথায়, ‘নায়িকা নিয়ে আলাদা কিছু নেই। সেই চরিত্রের অভিনেত্রীদের সঙ্গে তাদের অনেক কিছু করার আছে। সেই হিসেবে আমি ভাগ্যবান। আসলে আমি বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি। দর্শক আমাকে ভালোবাসে, আমি জানি। দর্শকরা আমাকে আনু দি, অনু আপা বলেন। কিন্তু ভক্তরা আমাকে মা বলে ডাকে। ‘
আনোয়ারার কোনো অসম্পূর্ণ বা কঠিন ক্যারিয়ার নেই। চলচ্চিত্র যেন আরও এগিয়ে যায় সে কামনা করলেন তিনি। সিনেমাগুলো দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। কেন এখন নাই? প্রশ্ন ছিল আনোয়ারার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যানেজারদের সঙ্গে কাজ করতাম কিন্তু ভয় পেতাম। তাদেরকে আমাদের বাবা মনে হতো। আমরা ভালোবাসতাম, আবার বাবার মতোও লাগত’
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে ‘আজান’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্য রয়েছে- ‘ বাঁশরী’, ‘দেবদাস’, ‘আশার আলো’, ‘দাদীমা’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুন্দরী’, ‘রাধা কৃষ্ণ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘বাংলার বধূ’, ‘মরণের পরে’, ইত্যাদি।