নির্বাচন কমিশন গঠন কে কেন্দ্র করে এবার কথা বললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। নির্বাচন কমিশনকে কে কেন্দ্র করে নানান ধরনের অভিমত নানান মানুষের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে। বিএনপির নির্বাচন কমিশন গঠনে হাজির না হওয়া আরো বেশি প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল নির্বাচন কমিশন গঠন কে। সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়েই বিএনপির কড়া সমালোচনা করলেন হানিফ।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি নিজেরাও জানে না কখন তারা চায়। নির্বাচন কমিশন আইন ইস্যুতে সরকারকে বিব্রত করাই বিএনপির লক্ষ্য।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বকশী বাজারে নবকুমার ইনস্টিটিউটে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, এক সপ্তাহ আগেও বিএনপি বলেছিল সরকার চাইলে এই অধিবেশনেই আইন পাস করতে পারে। এখন আইনমন্ত্রী সংসদে আইনটি উত্থাপন করলে তিনি বলেন, তা তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছে। ‘
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশন আইনের দাবিতে মাঠে আন্দোলনের চেষ্টা করেছিল। তখন কেউ কেউ বলেন, তিন দিনে আইন করা সম্ভব। সংসদে যখনই আইন পাস হয়েছে, তাদের ভাষা বদলে গেছে। ‘
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন ইস্যুতে বিএনপির ভাষা পরিবর্তনে বোঝা যায় তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না।’
বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিতে চায় উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরে যে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তারা এখনও সমস্ত অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে পঙ্গু করতে চায়। ‘
এর আগে, রোববার (২৩ জানুয়ারি) স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য পৃথক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশনার বিল-২০২২ উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
নিয়মানুযায়ী বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কিন্তু আইনটি উত্থাপনের পরপরই বিএনপির সংসদ সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন। তাদের দাবি, এই আইনে সুখকর কিছু হবে না! রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রত্যাশা এই আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
বিএনপি কে কেন্দ্র করে নানান কথাবার্তার মধ্যে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে একাত্তরের অপশক্তির সাথে বিএনপি’র তুলনা করেন তিনি। তবে এসব কথার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত বিএনপি’র কাছ থেকে কোনো কথা শোনা যায়নি। তার মতে এক এক সময় এক এক ধরনের মন্তব্য করছে বিএনপি। এখন দেখার বিষয় পরবর্তীতে এই নিয়ে বিএনপি’র পক্ষ থেকে কি বলা হয়।