ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় পরিবার-পরিজন ফেলে পাড়ি জমিয়েছিলেন সূদুর মালদ্বীপে। কোনো ভাবে পরিবার নিয়ে দু’মুঠো খেয়ে-পড়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত সেখান থেকে আর বেঁচে ফেরা হলো না মালদ্বীপ প্রবাসী সেলিম ভূঁইয়ার। চলতি মাসের গত ১৮ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। এরপর আজ রোববার সকালে তার মৃতদেহ একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। মালদ্বীপের স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় মরদেহটি দেশের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
১৮ জানুয়ারি সেলিম ভূঁইয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি গত পাঁচ বছর ধরে মালদ্বীপে অনিয়মিতভাবে কাজ করছিলেন।
সেলিম ভূইয়ার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার সেকের হাট গ্রামে। তিনি মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া ও জাহানারা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
এদিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. সোহেল পারভেজ জানিয়েছেন, হাইকমিশনের প্রচেষ্টায় আজ রোববার সেলিমের মৃতদেহ একটি ফ্লাইটে দেশে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সেলিমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারের মাঝে। তার এ অকাল মৃত্যু যেন কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।