দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেলের হাতে হ’ত্যাকাণ্ডের শিকার হন বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু। আর এরই মধ্যে স্বামী নোবেলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এবার বেরিয়ে এলো গুরুত্বপূর্ন এক তথ্য। জানা গেছে, শিমুর হ’ত্যায় নোবেলকে সহযোগীতা করেছেন তার বন্ধু ফরহাদ। দুই বন্ধু মিলেই শিমুকে গলাটিপে শেষ করে দেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হুমায়ুন কবির এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দাম্পত্য কলহের কারণে স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ মিলে নিজ বাসায় গলাটিপে মারেন শিমুকে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১৬ জানুয়ারি সকালে নোবেলের গ্রিন রোডের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার কিছুদিন আগে হাজির হন নোবেলের বন্ধু ফরহাদ। তাদের প্রায় ৪০ বছরের সম্পর্ক। ফরহাদ তখন বেকার। মাঝেমধ্যেই নোবেলের কাছ থেকে টাকা নিতেন। ওই দিন সকালে ফরহাদ দুই হাজার টাকা ধার নিতে নোবেলের বাড়িতে যান। এ সময় শিমু তাকে চা খেতে দেয়।
ফরহাদ ড্রয়িংরুমে বসে চা খাচ্ছিল। এদিকে পাশের বেডরুমে নোবেল ও শিমুরার মধ্যে ঝগড়া হয়। নোবেলের বন্ধু ফরহাদ। আওয়াজ শুনে ফরহাদ ড্রয়িংরুম থেকে শিমুর বেডরুমে যায়। নোবেল মেজাজ হারিয়ে শিমুকে দূরে ঠেলে দেয়। ফরহাদ উপস্থিত হলে নোবেল তাকে সাহায্য করতে বলে। ফরহাদ ছিল নোবেলের বাধ্যগত। এ জন্য সে নোবেলের কথামতো শিমুকে চেপে ধরে। এরপর দুজন মিলে গলাটিপে শিমুকে মেরে ফেলেন।
এদিকে এ ঘটানর একদিন গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিমুর মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হলে রিপোর্ট হাতে আসতেই জানা যায়, তাকে প্রথমে গলাটিপে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।