বর্তমানে আজ দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে চলছে নানা দুর্নীতি-অনিয়ম। কেউ করছে ক্ষমতার অপব্যবহার, আবার কেউ সাধারণ মানুষকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর এই তালিকায় রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের উর্ধতন অনেক কর্মকর্তাও। সেই ধারাবাহিকতায় এবার জানা গেল, সাভারে চেক জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিমা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার পর সাভারের রাজালেকের বিপরীত পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার রাহিমা ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনের স্ত্রী। এর আগে আল-আমিনকেও একই ধরনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার এক মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী জানান, রহিমা ও তার স্বামী নামা গেন্ডা এলাকার শামীমার কাছ থেকে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকা এবং বেঁদেপাড়া থেকে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বাড়ি দেওয়ার জন্য নিয়েছেন। পরে তিনি বাড়ি বা টাকা ফেরত দেয়নি। ভুক্তভোগীরা আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় রহিমাকে আটক করেছে পুলিশ।
ঢাকা জেলা উত্তর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক কনকচাঁপা কণা বলেন, রহিমা দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার শাস্তি হবে। দলের নাম বদনাম করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করা মোটেও কাম্য নয়। তিনি পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে জালিয়াতির অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেত্রী রাহিমার গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার এসআই সাইফুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ইতিমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সিআর মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।