সম্প্রতি গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে হ’ত্যার শিকার হন ঢাকাই সিনেমার খুবই পরিচিত এক মুখ রাইমা ইসলাম শিমু। মৃত্যুর একদিন পর সকালে র কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এরই মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে নিয়েছে পুলিশ।
তবে এবার নায়িকা শিমুরার মৃত্যুর ঘটনায় আসন্ন ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। কারণ, ২০১৭ সালে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল ক্ষমতায় আসার পর শিমুর ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেন। ভোট দেওয়ার অধিকার. সদস্যপদ বাতিল করে শিমুকে সহযোগী সদস্য করা হয় ফলে সদস্য পদ থেকে প্রয়াত শিমু বঞ্চিত হন।
এরপর শিমু তার ভোটাধিকার হওয়ার দাবি নিয়ে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ফলস্বরূপ, সবাই তাকে ১৮৪ জন শিল্পীর একজন হিসাবে চেনেন যারা সমিতি থেকে তাদের ভোটের অধিকার হারিয়েছেন।
সদস্যপদ ছিনিয়ে নেওয়ার পর গত চার বছর ধরে সংগঠনের সহযোগী সদস্য ছিলেন শিমু। মৃত্যুর পরদিনই সমিতির সদস্য হন শিমু!
মিশা-জায়েদ প্যানেল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এফডিসিতে শিমুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি ব্যানার উড়িয়ে দেয়। একটি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নামে, অন্যটি মিশা-জায়েদ প্যানেলের নামে। ব্যানারে শিমুরাকে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সদস্য চিত্রনায়িকা শিমু’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিচয় সবার নজর কেড়েছে। তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনারও জন্ম হয়েছে।
চলচ্চিত্র শিল্পী ও সংশ্লিষ্টদের অনেকই বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি। তাদের মতে, ‘যে সমিতি গত ৪ বছর ধরে এই নায়িকার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়নি। নিজের সদস্যপদ হারানোর আক্ষেপ নিয়ে যে নায়িকা মারা গেল, মৃত্যুর পরদিন ব্যানার লাগিয়ে তার নামের পাশে সমিতির সদস্য লেখা বিষয়টি নায়িকার মরদেহের সঙ্গে প্রতারণার সামিল।
১৯৯৮ সালে ‘বর্তমান’ নামক একটি সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় প্রথমবারের মতো পা রাখেন রাইমা ইসলাম শিমু। তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই লাখ লাখ দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন। সেহেতু হঠাৎই তার চলে যাওয়ায় রীতিমতো শোকাহত হয়ে পড়েছেন ভক্ত-শুভাকাঙ্খিরাও।